বর্ধমান রাজ পরিবার ও ক্ষত্রিয় সমাজ ....নীরদবরণ সরকার


বর্ধমান শহরে তথা বর্ধমান জেলায় ক্ষত্রিয়দের আগমনের ইতিহাস ইতিপূর্বে লেখা হয়েছে বলে নজরে পড়েনি। অথচ এই ক্ষত্রিয়রা বর্ধমানে বসবাস করছেন তিনশরও বেশি বছর ধরে। বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত আছে রাজ বংশের কথা, কিন্তু ক্ষত্রিয়দের কথা উল্লেখিত নেই।
এই বর্ধমান রাজাদের আদি পুরুষ, সঙ্গম রায়, ছিলেন ক্ষত্রিয় বংশের। সঙ্গম রায়ই প্রথম ক্ষত্রিয় যিনি বর্ধমানের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন এবং বলা যায়, তার পর থেকেই তাঁদরে বংশের সূত্র ধরেই বর্ধমানে ক্ষত্রিয়দের বসবাস শুরু হয়।
কি ভাবে ক্ষত্রিয়রা বর্ধমানের মাটিতে বসবাস শুরু করল এবং এই বিশাল জনপদের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করে নিল, পালা, পার্বন, উৎসবে কি করে নিজেদের মিশিয়ে দিল এবং এই জনজীবনে কি ভাবে তারা নিজের অস্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেও মানুষের খুব কাছাকাছি চলে এল সেই তথ্যই এই গ্রন্থের মূল বিষয়।

নীরদবরণ সরকার
এদশে ইতিহাস বড় দুর্লভ বস্তু এবং বর্ধমানের ইতিহাস একটি দুস্প্রাপ্য সম্পদ । সেই ইতিহাস রচনায় নীরদবরণ সরকার খুবই আন্তরিক। অজানাকে জানবার স্পৃহা তাঁর শিশুকাল থেকেই ছিল। ছাত্রাবস্থা থেকেই বর্ধমানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরে ঘুরে দুর্লভ তথ্য সংগ্রহ করে এবং পর্যবেক্ষণ করে এক একটি বিষয়ের উপর মোট গ্রন্থ রচনা করেছেন ২০টি। এখনও তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়নি, বরং সেই আগেকার মতো উৎসাহ নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাঢ় বঙ্গের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। শুধু সংগ্রহ আর তা লিপিবদ্ধ করে সাধারণ মানুষের কাছে সেই সব অতীত গৌরবের তথ্য পুস্তকাকারে প্রকাশিত করে পৌঁছে দেওয়া, এ যেন তাঁর জীবনের ব্রত হয়ে উঠেছে।
লেখক বহু পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। ২০০৭ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন যেটি ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সম্মেলনে ঐ বছরের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পুরস্কার ‘সুশীলাদেবী বিড়লা স্মৃতি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বহু প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্রে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর অজস্র গবেষণামূলক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও দূরদর্শনের বহু চ্যানেলেই তাঁর গবেষণামূলক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়।
ভবিষ্যতে এই লেখকের আরও কয়েকটি গবেষণামূলক গ্রন্থ খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)