Showing posts with label Poems. Show all posts
Showing posts with label Poems. Show all posts


‘যদি হতো অন্যরকম’ কাব্যগ্রন্থটি হবিবুল্লা সেখের এক অনন্যসাধারণ কাব্য গ্রন্থ। গ্রাম বাংলার সরল সাধারণ জীবন, ভাটিয়ালি সুর, মেঠো গান, বাক্যহীন অনুভূতির প্রবাহমান ধারা যা চিরন্তন, যা অবিনশ্বর..... এমনই এক সারল্যময় সুর ধ্বনিত হয় এই কাব্যগ্রন্থে। কবি তার নান্দনিক দৃষ্টির প্রেক্ষাপটে থরে বিথরে সাজিয়ে তুলেছেন তার কবিতাগুলিকে, তাই কবিতাগুলিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাণ। কবিতাগুলির ভাবধারা কিছু ক্ষেত্রে সরলরৈখিক যা এক কথায় সহজবোধ্য। কবি তার কবিতাগুলিকে অনুকরণীয় করে তুলেছেন নিজস্ব লেখনী গুনে। কবিতাগুলির সঙ্গে পাঠকবর্গ নিজেদের সংযোজিত করতে পারবেন অনায়াসে। যে জীবন কোথাও না কোথাও হারিয়ে গেছে তার নিরলস সুর এই কবিতাগুলির মধ্যে ধ্বনিত হচ্ছে।

Habibulla Sk

হবিবুল্লা সেখ
জন্ম ৫ই এপ্রিল, ১৯৬৬, নদীয়া জেলার নতুন নওপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে। ধুবুলিয়া দেশবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক। কর্ম জবিন শুরু হয় বর্ধমানের ‘নাড়ী শান্তনু ঘোষ মেমোরিয়াল হাই স্কুল’-এ সহকারী শিক্ষক হিসাবে। বর্তমানে তিনি তার গ্রামেই শালিগ্রাম আদর্শ হাই স্কুলে সহ-শিক্ষকের পদে কর্মরত আছেন। ছাত্র জীবন থেকেই কবিতার প্রতি গভীর আকর্ষণ এই গ্রন্থ নির্মাণের অনুপ্রেরণা। পারিবারিক জীবনের দরিদ্রতার মধ্যেও শিক্ষায় এবং সংস্কৃতিতে তার উপস্থিতি স্থানীয় পরিমণ্ডলে আজও সমুজ্জ্বল। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়ে নান্দনিক অনুশীলন করে চলেছিলেন কবি। বর্তমান গ্রন্থে তার কবিতার চলমানতার এক নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়। তার মৌলিক কবিতাগুলি মনে দাগ কাটে। পাঠকবর্গকে শৈশবের স্মৃতি, হারিয়ে যাওয়া জীবনের রোমন্থন যোগায়। কবি নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন। প্রবন্ধ রচনাতেও তার মৌলিক চলাচল অনুভব করা যায়।
মূল্য : ২৫০ টাকা মাত্র (দুই শত পঞ্চাশ টাকা মাত্র)


কবি উদয় কুমার সাহা, তাঁর বর্তমান কাব্যগ্রন্থ ‘বালুকা বেলায়’ তাঁর দীর্ঘ জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতার নির্যাস নান্দনিকতার আবর্তে প্রতিচ্ছবির মত তুলে ধরেছেন কবিতার মোড়কে। কবিতা নির্মাণ ও সৃষ্টির নানাবিধ পরীক্ষণ ও নিরীক্ষণ েএই কাব্যগ্রন্ধে বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। কবি তাঁর বলিষ্ঠ লিখণিগুনে বারেবারে প্রতিভাত করেছেন তার কাব্যের প্রতি, জীবনের প্রতি, সৃষ্টি সুখের প্রতি বিশেষ অনুরাগ। কবিতা কোথাও সরল জীবনের মতো সরল, আবার কোথাও অভিজ্ঞতার নির্যাসে সম্পৃক্ত, অসরলরৈখিক। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, ঘাত প্রতিঘাত মনকে যেভাবে আন্দেলিত করে তারই প্রতীকী প্রকাশ কবিতার মোড়কে সঞ্চারিত হয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। কবিতাগুলির শব্দ চয়নে ও নামকরণে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কোথাও কোথাও দার্শনিকতার আভাস ঝংকৃত হয়েছে কবিতার বিভিন্ন অঙ্গে। গ্রন্থটি এককথায় সুখপাঠ্য। কবি বারবার কবিতার আঙ্গিকে ধরতে চেয়েছেন সীমার মাঝে অসীম, বিন্দুর মধ্যে সিন্দু, জীবনের মধ্যে মহাজীবনকে। ‘বালুকা বেলায়’ কাব্যগ্রন্থ সেই প্রচেষ্টার নীরব সাক্ষী।

উদয় কুমার সাহা
কবি উদয় কুমার সাহা (দেব কুমার) ভারতের বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার মাধবপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শম্ভুনাথ সাহা, মাতা সরস্বতী সাহা। মা বাবার প্রথম সন্তান। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পেশাগত জীবন কাটিয়েছেন ঝাড়খন্ড, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। লোহা লক্কর, ইঞ্জিন এরূপ যন্ত্রদানবদের নিয়ে কর্মজীবন অতিবাহিত করে অবসর জীবনে সাহিত্য সভায় রুচিশীল গুণীদের সান্নিধ্য লাভ এবং তাঁদের সাথে পরিচিত হয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। ভালোবাসেন পরিবার ও প্রাণখোলা হৃদয়বান মানুষদের। স্ত্রী কবি সন্ধ্যা সাহার সাথে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় লিখছেন। সাহিত্যের টানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় কবি সাহিত্যিকদের সাথে মিশেছেন, দেখেছেন অনেক দর্শনয়ি স্থান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কবি সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। তার রচিত কবিতা ও প্রবন্ধগুলি মা মাটি ও মানুষদের নিয়ে সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় তার রচিত কবিতা, প্রবন্ধ প্রকাশ হচ্ছে। মানিক মজুমদার জীবনী সংকলন ‘প্রীতিডোরে বাঁধা’ গ্রন্থের সম্পদক মণ্ডলীর সদস্য। তিন কন্যা সন্তানের জনক। অবসরে এখন নিরলস সাহিত্য চর্চায় ব্রত করেছেন। 
বর্তমান কাব্যগ্রন্থ ‘বালুকা বেলায়’ কবি উদয় কুমার সাহা তার জীবনের নানাবিধ অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, অনুরণন ছবির মত তুলে ধরেছেন লেখনীর টানে টানে। কবিতাগুলি হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞাতর নির্যাসে সম্পৃক্ত, সমৃদ্ধ। জীবন সায়াহ্নে কবির কলমে ফুটে উঠেছে জীবনের নানাবিধ চলচ্ছবি - তােই গ্রন্থটি পাঠকদের কাছে হয়ে উঠবে - এক অনুপ্রাণিত ফসল, জীবনের নির্যাস, বেঁচে থাকার আনন্দ ।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)


কবি দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় বর্তমান কাব্যগ্রহন্থ ‘কলমে বকলমে’ এর কাব্যের বিষয় সাজিয়ে তুলেছেন নানা বর্ণের ব্যক্তিক-নৈব্যক্তিক অনুভূতির মেঘমালায়। কবিতাগুলি ভাব-মাহাত্মে বিভোর, বহুমাত্রিক, অনুভূতির টানে সঞ্জীবিত। মনে দাগ কাটা, চিরন্তনী আবেশ ছড়ানো কবিতাগুলি ‘কলমে বকলমে’ কাব্যগ্রন্থের দু’মলাটের মধ্যে অক্ষরে অক্ষরে প্রাণময়, নিজেকে মেলে ধরার জন্য ধ্রপদী বাউলভাবে বিভোর। সুপাঠ্য কবিতাগুলি জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সঞ্চিত মনজ্ঞ অভিজ্ঞতার সফল নির্যাস। কবিতাগুলির নামকরণেও রয়েছে আধুনিকতার ছোয়া। কবিতাগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য অবশ্যই কবির নিজস্বতা, শব্দ-চয়নে মেদবিহীন সারল্য এবং বলিষ্ঠ-ভাবপ্রকাশ। গ্রন্থটি এককথায় সর্বাঙ্গ সুন্দর। 
গ্রন্থটির ঐকান্তিক সাফল্য কামনা করি।

www.tatobhumiprakashani.in
দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় – কবি শ্রী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম শিল্পনগরী জামশেদপুরে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে। জামশেদপুরেই সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা লাভ করে বার্ণপুরে ইস্পাত-শিল্পে কর্মজীবন শুরু। অবসর গ্রহণের পর অম্বিকা কালনায় আগমন। অনিয়মিত সাহিত্য চর্চা এখানেই নিত্য সাধনায় পরিবর্তিত হয়। ২০১৬ খৃ: প্রকাশিত হয় “চাণক্য নীতির সুধামৃত” গ্রন্থটি। সব পাঠক মহলেই এই গ্রন্থ সমাদৃত হওয়ায় চাণক্যর উপর দ্বিতীয় গ্রন্থ “চাণক্য শ্লোক সুধামৃত” গ্রন্থটি নির্মাণে প্রেরণা লাভ করেন। কথা সাহিত্যিক শ্রী অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চাণক্য নীতির উপর লেখা গ্রন্থগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
শ্রী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং ব্যক্তিগত চর্চায় কবিতাকে রেখেছেন তাঁর সাহিত্যচর্চা অন্যতম মাধ্যম হিসাবে। বর্তমান গ্রন্থ ‘কলমে বকলমে’ তাঁর সুদীর্ঘ সাহিত্যচর্চার বা পরিক্রমার একটি অনন্য ফসল।

মূল্য : ২৫০ টাকা মাত্র (দুইশত পঞ্চাশ টাকা মাত্র)
‘এক মুঠো সাদা ভাত এবং’ কাব্যগ্রন্থে কবি লক্ষ্মীরাণী বিশ্বাস সমকালের জীবনদর্পণ থুলে ধরেছেন আপন লেখনীগুণে। তাঁর অন্দরমহলের গৃহস্থলী অভিজ্ঞতার আলোয় তিল তিল করে সাজানোর চেষ্টা করেছেন কবি এই কাব্যগ্রন্থে। সব কবিতায় সেই সাফল্য পেয়েছেন বলা না গেলেও বেশির ভাগ কবিতা কবির প্রচেষ্টায় উদ্ভাসিত। সরলরৈখিক জীবনধারায় নানাবিধ বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও অভিঘাত কবির অন্তকরণ রঙীন করে তোলে, কবিতায় সেই রঙ ছড়িয়ে পড়েছে আবির হয়ে বর্ণে বর্ণে। সাধারণ মানুষের না বলা কথাও স্থান করে নিয়েছে বহু কবিতা। 
গ্রন্থের সাফল্য কমনা করি। পাঠকের হাতে গ্রন্থটি হয়ে উঠুক এক অমূল্য সম্পদ।


লক্ষ্মীরাণী বিশ্বাস
লক্ষ্মীরাণী বিশ্বাস। জন্ম, অবিভক্ত বাংলাদেশের অধুনা বৃহত্তর ফরিদপুর বর্তমান মাদারীপুর কালকিনি উপজেলা শশীকার গ্রামে। ব্যবসায়িক কর্মজীবনের অবসরে গোপনে সাহিত্যচর্চা ও বিভিন্ন স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়ে বর্তমান গ্রন্থ নির্মাণের অনুপ্রেরণা লাভ করেন। তাঁর বিভিন্ন কবিতা ‘অদ্বিতীয়া পত্রিকা’, ‘ধ্রুবতারা’ পল্লীবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। 
তাঁর কবিতার মৌলিকত্ব এখানেই যে তিনি কবিতার মধ্য দিয়ে সমকালীনকে অবলোকন করেন এক ভাববিহ্বল অনুপ্রেরণায়। তাঁর সাহিত্য নির্মাণের অন্যতম মৌলিকত্ব একানেই যে তিনি কাউকেই অনুকরণ করেননি। কিন্তু আধুনিক কবিদের নানাবিধ সুরঝঙ্কার অনুরণিত হয়েছে তাঁর বিভিন্ন কবিতায়। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি সূচিকর্ম, উলের কাজ, নকশীকাঁথাসহ নানাবিধ শিল্পগুণে বহু স্বীকৃতি পেয়েছেন।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)

প্রকৌশলী উদয় কুমার সাহা, সারাজীবন কাটিয়েছেন যান্ত্রিক পরিমন্ডলে। কিন্তু লোহা লক্করের কঠিন বস্তুর মধ্যে কর্মজীবন অতিবাহিত করলেও তার ভিতরে যে একটি শিল্পী মন আছে, কাব্যিক চেতনা আছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জীবনের পড়ন্তবেলায়। লেখক স্বত্তা জেগে উঠেছে অবসর জীবনে কবি সাহিত্যিকদের সান্নিধ্যে। সম্প্রতি গদ্য দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও খুব অল্পদিনের মধ্যেই একের পর এক কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সব মিলিয়ে সফল রচয়িতা হিসেবে বাংলা সাহিত্য, ভুবনে সমকালীন কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে একটা পরিচিতি করে নিয়েছেন।
তাঁর লেখাগুলি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা আঙ্গিকে লেখা কবিতাগুলি সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত। কোথাও কোন জটিল শব্দ কিংবা কাল্পনিক কাহিনির অবতারণা নেই। সরল মনে দীর্ঘদিনের জমে থাকা মনের ভেতর থেকে উঠে আসা রুচিশীল শব্দগুলিকে দিয়ে অতি অল্পদিনে নিরলস কাব্যচর্চায় কবিতার মালা সাজিয়েছেন।
আমাদের চলমান সমাজ ও দুই বাংলার বিভিন্ন ঘটনাকে লেখক তার জীবনের তাত্ত্বিক অনুভূতি দিয়ে রুচিশীল শব্দ বিন্যাসে মানসিক চেতনায় সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর লেখাগুলি সকল শ্রেণির পাঠকের স্বপরিবারে পড়বার মত এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।

উদয় কুমার সাহা
কবি উদয় কুমার সাহা (দেব কুমার) ভারতের বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার মাধবপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শম্ভুনাথ সাহা, মাতা সরস্বতী সাহা। মা বাবার প্রথম সন্তান। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পেশাগত জীবন কাটিয়েছেন ঝাড়খন্ড, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। লোহা লক্কর, ইঞ্জিন এরূপ যন্ত্রদানবদের নিয়ে কর্মজীবন অতিবাহিত করে অবসর জীবনে সাহিত্য সভায় রুচিশীল গুণীদের সান্নিধ্য লাভ এবং তাঁদের সাথে পরিচিত হয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। ভালোবাসেন পরিবার ও প্রাণখোলা হৃদয়বান মানুষদের। স্ত্রী কবি সন্ধ্যা সাহার সাথে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় লিখছেন। সাহিত্যের টানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় কবি সাহিত্যিকদের সাথে মিশেছেন, দেখেছেন অনেক দর্শনীয় স্থান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কবি সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। তার রচিত কবিতা ও প্রবন্ধগুলি মা মাটি ও মানুষদের নিয়ে সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় তার রচিত কবিতা, প্রবন্ধ প্রকাশ হচ্ছে। মানিক মজুমদার জীবনী সংকলন ‘প্রীতিডোরে বাঁধা’ গ্রন্থের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। তিন কন্যা সন্তানের জনক। অবসরে এখন নিরলস সাহিত্য চর্চায় ব্রত করেছেন।
বর্তমান কাব্যগ্রন্থ ‘নির্বাচিত ১০০ শ্রেষ্ঠ কবিতা’য় কবি তার বিভিন্ন কাব্যচেতনার গভীর রেখাপাত ঘটিয়েছেন কবিতার শরীর ও মনে - তাই কবিতাগুলি হয়ে উঠেছে বাগ্মায় ও প্রাণময়। এই গ্রন্থে কবির কাব্যচেতনার আধুনিকতার স্পর্শ বিশেষভাবে অনুভুত হয়।
মূল্য : ১০০ টাকা মাত্র (একশত টাকা মাত্র)

www.tatobhumiprakashani.in
ভারতের ইতিহাসে বিস্ময়কর রাজনৈতিক প্রতিভা চাণক্যর উপর একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। ভারতের প্রায় সব ভাষায় চাণক্যর শ্লোক বিরাজমান। বাংলা ভাষায় চাণক্য শ্লোক ব্যবহৃত হয় নীতিশিক্ষা, অর্থনৈতিক সচেতনতা, কূটনৈতিক প্রাজ্ঞতার মূলসূত্র হিসাবে। চাণক্য নীতি কেবল রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ নেই, বরং লোকশিক্ষার, সামাজিকীকরণের বাস্তবতায় যুগোত্তীর্ণ। স্থান-কাল-পাত্র-ব্যক্তি-সমাজভেদে আজও চাণক্য ধ্রুপদী সূত্র।
বর্তমান গ্রন্থ, “চাণক্য শ্লোক সুধামৃত”-এ চাণক্য শ্লোকগুলির দেবনাগরীকে বাংলা ভাষায় অক্ষরে লিপিব্ধ করা হয়েছে সাবলিলভাবে এবং বলা বাহুল্য, সুনিপুণ বয়ানে। এই গ্রন্থে চাণক্য শ্লোকগুলি ভাষায় প্রতিবন্ধকতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার প্রচেষ্টায় ব্রতী হয়েছে।
গ্রন্থটি এক পরিশ্রমসাধ্য সাধনা। বাংলা সাহিত্যে এমন গ্রন্থ বিরল এবং যুগোপযোগী। গ্রন্থটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট যুগের কষ্ঠিপাথরে বিচার্য্য হবে – ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করি। 

www.tatobhumiprakashani.in
দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় – লেখক শ্রী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম শিল্পনগরী জামশেদপুরে ১৯৪৯ খৃ: এ। জামশেদপুরেই কারিগরি শিক্ষা লাভ করে বার্ণপুরে ইস্পাত-শিল্পে কর্মজীবন শুরু। অবসর গ্রহণের পর অম্বিকা কালনায় আগমন। অনিয়মিত সাহিত্য চর্চা এখানেই নিত্য সাধনায় পরিবর্তিত হয়। ২০১৬ খৃ: প্রকাশিত হয় “চাণক্য নীতির সুধামৃত” গ্রন্থটি। সব পাঠক মহলেই এই গ্রন্থ সমাদৃত হওয়ায় চাণক্যর উপর দ্বিতীয় গ্রন্থ “চাণক্য শ্লোক সুধামৃত” গ্রন্থটি নির্মাণে প্রেরণা লাভ করেন। কথা সাহিত্যিক শ্রী অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চাণক্য নীতির উপর লেখা গ্রন্থগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মূল্য : ১০০ টাকা মাত্র (একশত টাকা মাত্র)

Debashis Chatterjee
ভারতের ইতিহাসে বিষ্ময়কর রাজনৈতিক প্রতিভা, সামাজিক সংবেদনশীলতা, কূটনৈতিক প্রাজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সচেতনতার অবিনশ্বর প্রতিভূ হিসাবে চাণক্য চিরস্মরণীয়। তাঁর বাস্তব নৈতিকতা তিনি তাঁর নীতি শ্লোকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অভূতপূর্ব লোকশিক্ষার সার্থক প্রয়াসে আজও আমরা বিস্ময়াভিভূত। যদিও সংস্কৃত শিক্ষা আজ আমাদের সমাজে অবহেলিত, চাণক্য নীতির সুধামৃত ভাষা-যুগ-দেশের পরিমণ্ডল অতিক্রম করে ধ্রপদী সাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছে।
চাণক্যের নীতি শ্লোক ও শ্লোকের ব্যাখ্যা আমরা ছাত্রজীবনে পড়ে এসেছি। অপরিণত বয়সে যান্ত্রিক মানসিকতায় সেগুলো অধ্যয়ন করেছিলাম। এই পরিণত বয়সে সেগুলির পুর্ণমূল্যায়ন করতে গিয়ে অনুভব করলাম চাণক্য যেভাবে ছন্দোবদ্ধ ভাবে পরিবেশন করেছেন ব্যাখ্যায় সে ছন্দোবদ্ধ রস কোথায় ?
বঙ্গভাষায় ছন্দোবদ্ধ ব্যাখ্যার প্রয়াসেই আমার এই অবতারণা। বঙ্গের রঙ্গপ্রিয় বাঙালীকে ছন্দের মাধ্যমে আকর্ষিত করার অভিলাষেই আমার এই নিবেদন। জানিনা বঙ্গপ্রিয় মানসিকতাকে কতটা প্রভাবিত করতে পারবো ?


দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়
- জন্মস্থান শিল্পনগরী জামশেদপুর ১৯৪৯ খৃঃ। জামশেদপুরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের পর বর্ধমান জেলার বার্ণপুরে ইস্পাতশিল্পে কর্মজীবন শুরু। বার্ণপুরে কর্মজীবন অবসানের পরে অম্বিকা কালনায় অবসর জীবন শুরু। পারিপার্শ্বিক চাপমুক্ত হয়ে অবসর বিনোদনের তাগিদেই সাহিত্য সাধনার প্রয়াস। চাণক্যের সংস্কৃত শ্লোকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাঙ্গলায় ছন্দের আকারে অনুবাদে হঠাৎই উদ্যোগী হয়ে পড়লাম। মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না। অখণ্ড অবসর বিনোদনে সমস্ত ঘটনা অনবধানেই ঘটে গিয়েছে। অবশেষে সংঘবদ্ধ আকারে পাঠক সমাজে ছড়িয়ে দেবার প্রয়াসী হয়েছি। জানি না চাণক্যের ভাবধারা নিয়ে পাঠকের অন্তঃকরণে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো কিনা।
মূল্য : ৬০ টাকা মাত্র (ষাঁট টাকা মাত্র)


সমকালের আধুনিক কবিতার দুর্বোধ্যতার দায়ে দুষ্ট নয় কবি শুভাশিস চক্রবর্তীর কবিতা। বরং কবিতাগুলির বিশেষ কথন মনে চেতনায় এবং বৌদ্ধিক সত্ত্বায় নাড়া দেয়। জানায় কবিতা আটপৌরে গৃহস্থালীর মতো, আবার মননে আধুনিকতার সঙ্গে প্রগতিশীলতাও বাস করে। শুভাশিস চক্রবর্তীর কবিতা ব্যক্তিক থেকে নৈর্বক্তিকতা এবং সর্বোপরি হয়ে যায় সর্বজনীন। একনিষ্ঠ পাঠক এখানেই খুঁজে পান নিজেকে। এখানেই সাহিত্য হয়ে ওঠে কালজয়ী। সর্বজনবিদিত। একান্ত আপনার। শুভাশিস চক্রবর্তীর কবিতাগুলি তেমনই – কোথায় যেন নিজের সঙ্গে নিজের দেখা হয়ে যায়; আলাপচারিতায় মৌনমুখরতা ভেঙে জন্ম নেয় স্বকথন।

শুভাশিস চক্রবর্তী
- কবি শুভাশিস চক্রবর্তীর জন্ম কালনা মহকুমার অন্তর্গত রামেশ্বরপুর গ্রামে। ১৯৫৬ সালের ৫ই জানুয়ারী। গ্রামীণ আবহাওয়ায়, সারল্যময় শ্যামলিমায় কবিসত্ত্বার সজীব চারা এখন স্বাভাবিক উদ্ভিদের ন্যায় – ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’ বেহুলা নদী, বাঁশ বন, দিগন্ত বিস্তত ধানখেত, পুকুর পাড়, এঁদো ডোবা, পাখপাখালি, গাছগাছালি সহ এক প্রকাণ্ড গ্রামীণ জীবন ও মানবতা তাঁর কবিত্বের আবাহনী শক্তি।
শুভাশিস চক্রবর্তী সঙ্গীত জগতের এক উল্লেখযোগ্য নাম। সঙ্গীত সাধনায় নিজের প্রতি সুবিচার করলেও লেখনি প্রতিভার প্রতি দীর্ঘ অবিচারের ইতি ঘটল এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
আধুনিক কবিতা লেখায় প্রেরণা সহোদর দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছে। শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক শ্রীযুক্ত কল্যাণ ভট্টাচার্যর ঐকান্তিক অনুপ্রেরণায় এই গ্রন্থ প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। বন্ধুবর শ্রী সমীর ঘোষ কবির অন্যতম সহযোগী। ঐকান্তিকতা ও অনুপ্রেরণায় এই কাজে কবিকে যাঁরা উদ্বুদ্ধ করেছেন তাঁদের কথা না বললে সত্যের অপলাপ ঘটবে – তাঁরা হলেন সুমনা ভট্টাচার্য, নীতিশা অধিকারী, প্রিয়াঙ্কা দাস, দেবায়ন চক্রবর্তী, পম্পা চক্রবর্তী ও অপরাজিতা চক্রবর্তী।
মূল্য : ১০০ টাকা মাত্র (একশত টাকা মাত্র)


পেশা শিক্ষকতা, নেশায় মৌলিক সাহিত্য সৃষ্টি। নানা কাজের অবসরে যে সময়টুকু কেবল নিজের, সেই সময়টুকু সাহিত্যচর্চা আর সাহিত্য সাধনার – এই ভাবেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে সোমেশ মণ্ডলের সৃষ্টিশীল কলম। স্থানীয় পত্র-পত্রিকার পরিমণ্ডল অতিক্রম করে তাঁর লেখা ছড়িয়ে পড়েছে ছাপানো অক্ষরের মোড়কে বিভিন্ন জেলায়। কবিতা নিয়ে তাঁর বই এই প্রথম। কবিতাগুলির নামকরণে রয়েছে আধুনিকত্ব। এখানে ভাষার গতি সরল এক মানুষের সবলা মনের মত।
সরলরৈখিক গতিতে চলা ছত্র-চাতুরী ও বাহুল্য বর্জিত ভাবপ্রকাশ। বাক্য গঠন, ছন্দসৃষ্টি, উপমা, প্রতীক ব্যবহার এখানে প্রচলিত বাগধারার মত। অনুবাদ কবিতাগুলি মনে রাখার মত। অন্যান্য কবিতাগুলি সবই সমমানের না হলেও ভাব-সঞ্চারে আপ্লুত হতে হয়।

সোমেশ মণ্ডল
- জন্ম ১৯ নভেম্বর, ১৯৭২। পিতা স্বর্গীয় নিশাকর মণ্ডল এবং মাতা সত্যবতী মণ্ডল। আদি নিবাস বর্ধমান জেলার নাদনঘাটের কাছে নিমার গ্রাম। এখানেই বড় হয়ে ওঠা। ইংরাজী সাহিত্যে এম.এ এবং বি.এড। বর্তমানে পূর্বস্থলী নীলমনি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশান এর ইংরাজী বিভাগের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা তার মজ্জাগত। ইতিমধ্যে লিখেছেন একাধিক গ্রন্থ। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অবাদ বিচরণ। কবিতা, পাঠ্যগ্রন্থের সহায়িকা, যাত্রা, ছোটগল্প লেখেন নিয়মিত। তাঁর লেখা আঞ্চলিকতার সীমানা ছাড়িয়ে আন্তজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে অনেকদিন। মৃদুভাষী এই সাহিত্য সেবী শিক্ষক নানাবিধ সমাজসেবা মুলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত। ধীরে ধীরে বলিষ্ঠ হয়ে উঠছে তার লেখনী। বর্তমান গ্রন্থই তার সদর্প প্রমাণ।
মূল্য : ৫০ টাকা মাত্র (পঞ্চাশ টাকা মাত্র)