"The Memoirs of Kargil War in 1999" by Sub. Major Shri Naresh Chandra Das is a first-hand experience or saga of life of Army people in Warfront in general and here specially in Kargil. this book highlights the bravery of our national heroes. It is about the unsung, practical tale of the untold stories of unknown, forgotten national heroes in our armed forces who ventured their life to protect our motherland, sacrificing their personal happiness, conjugal life, social life, family life with a determined will to protect us and our motherland. This book has a narrative of the geographical difficulties in Kargil sector, the weapons used, the sacrifices of our martyrs in Kargil warfront. The mentation or psychological inflow of a soldier who is exposed to all sorts of evil forces coming from beyondour border in a straight forward manner and in lucid language is the true gift to readers. This book will inspire several generations to come and will upfold patriotism in every Indian.
Showing posts with label Research Work. Show all posts
Showing posts with label Research Work. Show all posts
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ উপন্যাসকে সাঁওতালি ভাষায় প্রাণোজ্জ্বল ভাবে, সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন অনুবাদক রবিলাল টুডু এবং নশেচন্দ্র দাস। গ্রন্থটির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলা ভাষার সম্পদ অনুবাদের মোড়কে শিক্ষিত সাঁওতালি সমাজের কাছে আপন আঙ্গিকে পৌছে যাচ্ছে - এ এক বিরল ঘটনা এবং এর সাহিত্যমূল্যও অপরিসীম। গ্রন্থটির সাফল্য এখানেই। ‘পরিণীতা’ উপন্যাসটিকে অনুবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ভাবানুবাদের পথ ধরে লেখকদ্বয় তাদের লেখনির প্রতি সুবিচার করেছেন। সাধারণ পাঠক এক পূর্ণাঙ্গ পঠনেই পেয়ে যাবেন মনের ধ্রূপদী খোরাক। একথা বলাই বাহুল্য, সাঁওতালি সম্প্রদায়ের বহু ছেলে-মেয়ে শিক্ষিত ও সুশিক্ষিত হয়ে উঠছেন। দ্রুত শিক্ষর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের মধ্যে। বাংলা ভাষার ধ্রুপদী রসদ অনুবাদ বা ভাবানুবাদের মোড়কে পৌঁছে যাচ্ছে শিক্ষিত সাঁওতালি ভাই বোনেদের কাছে - যা অনুণ্ঠ প্রশংসার দাবি রাখে।
রবিলাল টুডু
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত নোয়াড়া গ্রামে জন্ম। সাহিত্য একাডেমি ২০১৫ পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক শ্রী রবিলাল টুডু। ১৯৭৩ সালে কালনা কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর A.G. Bengal -এ LDC পদে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে অফিসার হিসাবেই কর্মজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি - এতিমধ্যে খ্যাতির শীষর্ে পৌঁছেছে ‘বীর বীরসা’, ‘সমাজ রঈরা’ ইত্যাদি। আকাশ বাণী কলকাতায় প্রাত্যহিক সাঁওতালী অনুষ্ঠান ১৭৭৫ সাল থেকে পরিচালনা করেন শ্রী রবিলাল টুডু।নরেশ চন্দ্র দাস
জন্ম কালনা শহরের অদূরে কোয়ালডাঙ্গা গ্রামে ২৬শে অক্টোবর ১৯৬৩ সালে। আশৈশব অভিযানমুখী মনন কর্মজীবনকে করে তুলেছে রোমাঞ্চকর এবং উৎকর্ষতাপূর্ণ। তাই লেখকের উপযুক্ত কর্মজীবন বোধ করি বিধির বিধানে পূর্ব নির্ধারিত হল ভারতীয় সেনা দলে। ১৯৮৩ সালে কর্মজীবনে প্রবেশ এবং ধীরে ধীরে লেখাপড়ার ধাপ শুরু, আর্মি স্নাতক, চণ্ডিগড় থেকে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, রানী দুর্গাবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পণ্যাগার ডিপ্লোমা এবং নিউ দিল্লী থেকে অখিল ভারত সেনা ম্যানেজমেন্টে স্নাতক সদস্যপদ এবং অন্তিম সোপান আর্মির সাবমেজর পদ। কর্মজীবনে নানা বর্ণনা অভিজ্ঞতা বিকেন্দ্রীভূত করার আন্তরিক তাগিদ অনুভবে লেখনিকে অবলম্বন করে গ্রন্থ নির্মানে ব্রতী হয়েছেন। একাধিক পদ এবং কঠিন থেকে কঠিনতম নানাবিধ আর্মি ট্রেনিং এর মধ্য দিয়ে আজও তিনি সারল্যময়, প্রাণবন্ত এবং কর্ম ও কর্তব্য হিমালয়ের মত স্থির, দৃঢ় এবং মৌনমুখর।মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)
ড. কমলেশ ভট্টাচর্য বিরচিত “কালনা চরিতনামা” কালনার মনীষীদের কর্মজীবন, সামাজিক জীবন, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সর্বোপরি কালনা মহকুমার ঐতিহাসিক খণ্ডচিত্র সুলেখনির বন্ধনে সুপ্রস্থিত। এই গ্রন্থে কেবল কতিপয় মহাজীবনের গুণকীর্তন করা হয় নি; লেখক তুলে ধরেচেন তৎকালিন সমাজ জীবন, রাজনৈতিক কর্মগ্রবাহ, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল-এককথায় গ্রন্থটি গবেষণামূলক আঞ্চলিক ইতিহাস এবং প্রামাণ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ জীবন্ত দলিল।
আঞ্চলিক অথবা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস নির্মাণে ব্যক্তির ভুমিকা অনস্বীকার্য। ব্যক্তিই তার কর্ম-মাহাত্ম্যে গড়ে তোরৈন ইতহাস বা নিজেই হয়ে ওঠেন পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। “কালনা চরিতনামা” এমনই এক বিরল গ্রন্থ যা ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের প্রবাহধারায় বৃহত্তর জনজীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। আলোচনার পাশাপাশি তাদের কর্মজীবন, সাংস্কৃতিক জীবনকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে।
লেখকের কলমে দুই মলাটে এক বৃহত্তর জীবনেতিহাস সরবে-নিরবে অক্ষরে অক্ষরে প্রবাহমান।
হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ার বঙ্গদেশখ্যাত পণ্ডিত চট্টশোভাকার বংশে জন্মগ্রহন করেন। বংশধিপতি ছিলেন বঙ্গদেশধিপতি মহারাজ লক্ষ্মণ সেনের সভাপণ্ডিত পণ্ডিতকূলচূড়ামণি হলায়ুধ দেবশর্ম্মণ। পিতা সাহিত্যরত্ন নৃসিংহপ্রসাদ ভট্টাচার্য ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পণ্ডিত ব্যক্তি। মাতা বিভারানী দেবী। গুপ্তিপাড়া হাৈইস্কুল থেকে বিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করে কালনা কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ স্মাতক হন। এরপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উক্ত বিষয়ে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৮৩ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পিিএইচ.ডি. প্রাপ্ত হন। গবেষণার বিষয় ছিল ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার আদিপর্ব’(অক্ষয় দত্ত যুগ)। বিদ্যালয় ছাত্রদের উপযোগী ‘ভাষাবোধ ও রচনা প্রবেশ’ গ্রন্থের প্রণেতা। নৃসিংঞপ্রসাদ ভট্টাচার্যকৃত পুস্তক‘বঙ্গসংস্কৃতির একপর্ব’ ও ‘গুপ্তিপাড়া মঠকাহিনী ও বঙ্গের প্রথম বারোয়ারী’ গ্রন্থদুটি নিপুন হাতে সম্পাদনা করেন। কালনা মহকুমার বিশিষ্ট ব্রক্তিদের নিয়ে ‘স্মনীয় জীবন” (১ম খণ্ড) নামে একটি পুস্তকের প্রণেতা। এছাড়াও স্কুলপাঠ্য বিভিন্ন গ্রন্থের রচয়িতা। বিভিন্ন মননশীল, বিষয়গৌরবী প্রবন্ধ ও ছোটগল্পকার হিসাবে মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন।
কর্মজীবন : বহু উচ্চপদ ও সংস্থায় চাকুরী পাওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক বাধ্যবাধকতায় তা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে বর্ধমান জেলার কালনা অম্বিকা মহিষমদ্দির্নী উচ্চ বিদ্যালয়ে (উচ্চমাধ্যমিক) শিক্ষকতার চাকুরী গ্রহণ করেন। পরে ওিই বিদ্যালয়েই সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ওই পদে থেকেই অবসরগ্রহণ করেন।
মূল্য : ৩০০ টাকা মাত্র (তিন শত টাকা মাত্র)
’বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটি নীরদবরণ সরকারের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ বললে অত্যুক্তি হবে না। বাংলার সমাজ জীবন, রাজনৈতিক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন - সর্বোপরি ধর্মীয় জীবনে বর্ধমান রাজ পরিবারের অবদান অপরিসীম। এ বিষয়ে তথ্য নির্ভর গবেষনা রয়েছে এই গ্রন্থে। বর্ধমান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সঙ্গম রায় থেকে মহারাজাধিরাজ উদয় চাঁদ পর্যন্ত সকল রাজাদের ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, মন্দির প্রতিষ্ঠায় তথা ধর্মীয় জীবনে তাদের প্রভাব, সামাজিক অবদান ইত্যাদি ছবি সহ সুনিপুন লেখনিতে সনিবন্দিত হয়ে রয়েছে এই গ্রন্থে।
নীরদবরণ সরকার
শ্রী নীরদবরণ সরকার, সাহিত্যবিনোদ ইতিপূর্বে ‘নগর বর্ধমানের দেবদেবী’, ‘প্রাচীন বর্ধমানের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনা’, বিস্মৃত রাঢ়ের বিলুপ্ত কথন’, আপন অন্তর্লোকে রাঢ়ের প্রাসঙ্গিকতা’, ‘রাঢ় বর্ধমানের সাধক কবি কমলাকান্ত’, ’সর্ব্বব্যাপী চরাচর দেবী সর্বমঙ্গলা উপাখ্যান’, ‘বর্ধমােন ১০৮ শিবমন্দির’, ‘বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত (১ম সংস্করণ)’, ‘রত্নগর্ভা রাঢ় বর্ধমানের রত্নভাণ্ডার’, ‘বর্ধমান রাজ কাহিনি (কিশোর পাঠ্য ‘, ‘ঐতিহ্যে বর্ধমান’ এবং ‘বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত’ - ইংরাজী অনুবাদ রচনা করে তাঁর দেশজোড়া সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি প্রচণ্ড পরিশ্রমে ‘বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত’ রচনা করেন।
তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের এ ছিল প্রাণের একটি গভীর সাধ। স্বেচ্ছাদয়িত্ব নিয়ে তিনি এ গ্রন্থেবর্ধমানে রাজাদের প্রাচীনতম ইতিহাস উদ্ধার করেছেন। ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে এই ইতিহাসের সূচনা। তারপর ১৬৫৭-১৯৫৫ পর্যন্ত আবু রায় থেকে মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহতাব পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৩৫০ বছরের ইতিহাস তিনি বিজ্ঞানসম্মতভাবে রচনা করেছেন। এই সঙ্গে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর সময় অর্থাৎ মোগল সম্রাট আকবর থেকে ব্রিটিশ শাসক লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ বছরের ‘রাজ ইতিবৃত্ত’ বিস্তারিতভাবে পরিস্ফূট হয়েছে।
তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের এ ছিল প্রাণের একটি গভীর সাধ। স্বেচ্ছাদয়িত্ব নিয়ে তিনি এ গ্রন্থেবর্ধমানে রাজাদের প্রাচীনতম ইতিহাস উদ্ধার করেছেন। ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে এই ইতিহাসের সূচনা। তারপর ১৬৫৭-১৯৫৫ পর্যন্ত আবু রায় থেকে মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহতাব পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৩৫০ বছরের ইতিহাস তিনি বিজ্ঞানসম্মতভাবে রচনা করেছেন। এই সঙ্গে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর সময় অর্থাৎ মোগল সম্রাট আকবর থেকে ব্রিটিশ শাসক লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ বছরের ‘রাজ ইতিবৃত্ত’ বিস্তারিতভাবে পরিস্ফূট হয়েছে।
মূল্য : ৫০০ টাকা মাত্র (পাঁচ শত টাকা মাত্র)
কর্মজীবনে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে কাটিয়েছেন লেখক। তারুণ্যের বর্ণময় সময়ে সুন্দরবনের অবগুণ্ঠনহীন নৈসর্গিক দৃশ্যছটা অবলোকন করেন লেখক। তাঁরই মৌলিক অনুরণন এই গন্থে প্রবলভাবে বিরাজমান। তৎকালিন সুন্দরবনের জীবন, প্রকৃতি, জীবিকা, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, মানুষের সহজ-সরল জীবন-ধারা, নদীনালার প্রবহমানতা বন্যপশু, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, সুন্দরী, গড়ান, কেওড়ার জগতে আত্মহারা লেখক আপন লেখনিগুণে তুলে ধরেছেন সুন্দরবনের পদাবলী। সেই নির্জন, সবুজ, নদ-নদী নালার দেশে লেখক তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েচেন প্রবহমান মানুষের আত্মকথা, তাদের পদাবলী, তাদের জীবনগাথা।
গ্রন্থটি সুখপাঠ্য। অনাড়ম্বর ভাষায় লেখক তার অভিজ্ঞতা চিত্রকল্পের মত থরে-বিথরে সাজিয়ে তুলেছেন দুই মলাটের স্বল্প-দৈর্ঘ্যের পাতায় পাতায়। তাই সুন্দরবনের পদাবলী হয়ে উঠেছে এক জীবনের অখণ্ড দর্শন, মৌলিক তর্পণ।
গ্রন্থটির সাফল্য কামনা করি।
সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য
জন্ম কালনা শহরে ১৯৩৬ সালে। পিতা বিমলানন্দ আচার্য্য, কালনার প্রথম ভুমিপুত্র কালনাতা হাইকোটের আইনজীবী। ১৯৬০ সালে গ্রামসেবকের সরকারি চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু এবং ১৯৯৪ সালে এক্সটেনসন অফিসার সোশ্যাল এডুকেশন পদ থেকে অবসর পরে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কালনা পৌরসভার উপপৌরপতি এবং ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত D.P.E.P.-তে State Co-Ordinator, Comunity Mobilization হিসাবে কার্য উপলক্ষ্যে সারা পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ।
সাংবাদিক হিসাবে পাক্ষিক ‘পল্লীচিত্র’ পত্রিকার ১১ বচর সম্পাদনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি ছিলেন ‘বর্ধমান ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব-চর্চাকেন্দ্রে’। বর্তমানে সভাপতি ‘কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্র’ এবং সম্পাদক ‘সিনে সোসাইটি’। ভ্রমণ, ছোটগল্প, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপর একাধিক বই লিখেছেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর সিনে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডয়ার পূর্বাঞ্চলিয় শাখায় প্রথম Life Time Achievement Award
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)
বাংলা সাহিত্যের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বৈষ্ণব-সাহিত্য। চৈতন্যযুগ বা চৈতন্য পরবর্তী যুগে গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্ম সাহিত্যের লৌকিকতার আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে সার্বজনীনতার আঙিনায় প্রবেশ করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বৈষ্ণব ধর্মের এমন পরম্পরা ও ঐতিহ্য থাকা সত্বেও তার কালানুক্রমিক ইতিহাস বাংলা সাহিত্যে আজও বিরল। শ্রী সমীর চট্টোপাধ্যায়ের “বৈষ্ণব ধর্মের কালানুক্রমিক ইতিহাস” গ্রন্থটি চৈতন্য গবেষণায়, ধর্মপিপাসু পাঠকবর্গের তথা জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছে হয়ে উঠবে এক প্রামান্য তথ্য নির্ভর আকর গ্রন্থ। এই গ্রন্থ, এক কথায়, এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে ব্রতী। লেখক বৈষ্ণব ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নানাবিধ কর্মকাণ্ড ও ঘটনাবলীকে কালানুক্রমিক ভাবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সাবলিল লেখনিতে উদ্ভাসিত করেছেন এই গ্রন্থে। গ্রন্থটির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
সমীর চট্টোপাধ্যায়
- সাহিত্যসাধক তথা প্রবন্ধকারের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে শ্রীচৈতন্যদেবের সন্ন্যাসভূমি তথা শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দিরের সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে বড় হওয়া। শিক্ষান্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্তবিভাগে (বৈদ্যুতিক শাখা) ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পরে সাহিত্যচর্চা শুরু তবে ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের হস্তমুদ্রিত ম্যাগাজিনে ‘পূর্বাশা’ প্রথম লেখা প্রকাশ পেয়েছিল। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যের সন্ন্যাস গ্রহণের পাঁচশো বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে রচনা প্রকাশিত হয়েছিল তাহা কাটোয়া শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দির থেকে পাঠকসমাজে সমাদৃত হওয়ার সাহিত্যসাধনায় অনুপ্রাণিত হন। ২০০৪ খ্রিঃ হতে স্থানীয় নানা পত্রপত্রিকা যথা ধূলামন্দির, গোপন খবর, অজয়, অধরা, সমাজের সাক্ষী, মুক্ত কলম, ময়ূরাক্ষী, রাধামাধব, শালপিয়াল, তুলসীচন্দন, স্বস্তিকা, জর্গরী, মাতৃশক্তি, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রকাশিত বাঙালী জাগরণ মঞ্চ, খড়গপুর সমাচার ইত্যাদি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথ্যমূলক রচনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ খ্রিঃ কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত বইমেলায় যুগ্মলেখক হিসাবে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ – গৌর গৌরবাড়ী গৌরপাড়া। তার পরে একক ভাবে গ্রন্থ প্রকাশিত হয় – বাংলা সাহিত্যের অঙ্গন হতে (১ম পর্ব), স্মরণে – মননে শ্রীচৈতন্যদেব, অতীতের পৃষ্ঠা থেকে , যত সব পুরাতনী, কুইজ অন শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীচৈতন্য স্মৃতি কথা (১ম পর্ব) এবং মন্দিরময় কলকাতা মহানগরী। ব্যক্তিগত জীবনে নানা দেবমন্দির তথা নানা কৃতিপুরুষদের জন্মস্থান ভ্রমণের নেশা। প্রত্নতাত্ত্বিক ও অতীতের খ্যাতিমান মানুষদের বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে তুলে ধরাই লেখকের একান্ত প্রচেষ্টা। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এই লেখক শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য মহলে সুপরিচিত নাম।মূল্য : ১৫০ টাকা মাত্র (এক শত পঞ্চাশ টাকা মাত্র)
’রাঢ় বাংলার সংস্কৃতির ধারা’ গ্রন্থে ১০১টি গবেষনামূলক নিরন্দ সংকলিত হয়েছে। রাঢ় বাংলার প্রবাদ-প্রবচন, ধাঁধা, ছড়া থেকে ঘুড়ির মেলা; মহাত্মা গান্ধীর বর্ধমানে আগমন থেকে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন গঠন, সুভাষচন্দ্র বসুর বর্ধমানে রাজনৈতিক কর্মকান্ড এবং তার প্রভাব কিম্বা রেভারেণ্ড লাল বিহারী দের সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য, বা নিজভূমেই অনাদৃত স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর সেনানি বুটকেশ্বর দত্ত - ইত্যাদি রয়েছে এই গ্রন্থে।
গবেষনা ধর্মী এই গ্রন্থেই রয়েছে কিভাবে মাত্র ১৬ হাজার টাকায় ১৬৯৮ খ্রীষ্টাব্দের ৯ই নভেম্বর বর্ধমানের মাটিতে বিক্রি হয়ে গেল কলকাতা, গোবিন্দপুর ও সুতানুটি। গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় গবেষনার ক্ষেত্রে এক আকর গ্রন্থ।
গবেষনা ধর্মী এই গ্রন্থেই রয়েছে কিভাবে মাত্র ১৬ হাজার টাকায় ১৬৯৮ খ্রীষ্টাব্দের ৯ই নভেম্বর বর্ধমানের মাটিতে বিক্রি হয়ে গেল কলকাতা, গোবিন্দপুর ও সুতানুটি। গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় গবেষনার ক্ষেত্রে এক আকর গ্রন্থ।
নীরদবরণ সরকার
শ্রী নীরদবরণ সরকার, সাহিত্যবিনোদ ইতিপূর্বে ‘নগর বর্ধমানের দেবদেবী’, ‘প্রাচীন বর্ধমানের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনা’, বিস্মৃত রাঢ়ের বিলুপ্ত কথন’, আপন অন্তর্লোকে রাঢ়ের প্রাসঙ্গিকতা’, ‘রাঢ় বর্ধমানের সাধক কবি কমলাকান্ত’, ’সর্ব্বব্যাপী চরাচর দেবী সর্বমঙ্গলা উপাখ্যান’, ‘বর্ধমােন ১০৮ শিবমন্দির’, ‘বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত (১ম সংস্করণ)’, ‘রত্নগর্ভা রাঢ় বর্ধমানের রত্নভাণ্ডার’, ‘বর্ধমান রাজ কাহিনি (কিশোর পাঠ্য ‘, ‘ঐতিহ্যে বর্ধমান’ এবং ‘বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত’ - ইংরাজী অনুবাদ রচনা করে তাঁর দেশজোড়া সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি প্রচণ্ড পরিশ্রমে ‘বর্ধমান রাজ ইতিবৃত্ত’ রচনা করেন।
বর্তমান গ্রন্থ ‘রাঢ় বাংলার সংস্কৃতির ধারা’ একটি দুর্লভ গবেষণা গ্রন্থ। বহু প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্রে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর অজস্র গবেষণামূলক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে থেকে ১০১টি প্রবন্ধ এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
বর্তমান গ্রন্থ ‘রাঢ় বাংলার সংস্কৃতির ধারা’ একটি দুর্লভ গবেষণা গ্রন্থ। বহু প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্রে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর অজস্র গবেষণামূলক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে থেকে ১০১টি প্রবন্ধ এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।
মূল্য : ৪০০ টাকা মাত্র (চার শত টাকা মাত্র)
বর্ধমান শহরে তথা বর্ধমান জেলায় ক্ষত্রিয়দের আগমনের ইতিহাস ইতিপূর্বে লেখা হয়েছে বলে নজরে পড়েনি। অথচ এই ক্ষত্রিয়রা বর্ধমানে বসবাস করছেন তিনশরও বেশি বছর ধরে। বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখিত আছে রাজ বংশের কথা, কিন্তু ক্ষত্রিয়দের কথা উল্লেখিত নেই।
এই বর্ধমান রাজাদের আদি পুরুষ, সঙ্গম রায়, ছিলেন ক্ষত্রিয় বংশের। সঙ্গম রায়ই প্রথম ক্ষত্রিয় যিনি বর্ধমানের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন এবং বলা যায়, তার পর থেকেই তাঁদরে বংশের সূত্র ধরেই বর্ধমানে ক্ষত্রিয়দের বসবাস শুরু হয়।
কি ভাবে ক্ষত্রিয়রা বর্ধমানের মাটিতে বসবাস শুরু করল এবং এই বিশাল জনপদের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করে নিল, পালা, পার্বন, উৎসবে কি করে নিজেদের মিশিয়ে দিল এবং এই জনজীবনে কি ভাবে তারা নিজের অস্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেও মানুষের খুব কাছাকাছি চলে এল সেই তথ্যই এই গ্রন্থের মূল বিষয়।
এই বর্ধমান রাজাদের আদি পুরুষ, সঙ্গম রায়, ছিলেন ক্ষত্রিয় বংশের। সঙ্গম রায়ই প্রথম ক্ষত্রিয় যিনি বর্ধমানের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন এবং বলা যায়, তার পর থেকেই তাঁদরে বংশের সূত্র ধরেই বর্ধমানে ক্ষত্রিয়দের বসবাস শুরু হয়।
কি ভাবে ক্ষত্রিয়রা বর্ধমানের মাটিতে বসবাস শুরু করল এবং এই বিশাল জনপদের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করে নিল, পালা, পার্বন, উৎসবে কি করে নিজেদের মিশিয়ে দিল এবং এই জনজীবনে কি ভাবে তারা নিজের অস্তিত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেও মানুষের খুব কাছাকাছি চলে এল সেই তথ্যই এই গ্রন্থের মূল বিষয়।
নীরদবরণ সরকার
এদশে ইতিহাস বড় দুর্লভ বস্তু এবং বর্ধমানের ইতিহাস একটি দুস্প্রাপ্য সম্পদ । সেই ইতিহাস রচনায় নীরদবরণ সরকার খুবই আন্তরিক। অজানাকে জানবার স্পৃহা তাঁর শিশুকাল থেকেই ছিল। ছাত্রাবস্থা থেকেই বর্ধমানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরে ঘুরে দুর্লভ তথ্য সংগ্রহ করে এবং পর্যবেক্ষণ করে এক একটি বিষয়ের উপর মোট গ্রন্থ রচনা করেছেন ২০টি। এখনও তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়নি, বরং সেই আগেকার মতো উৎসাহ নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাঢ় বঙ্গের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। শুধু সংগ্রহ আর তা লিপিবদ্ধ করে সাধারণ মানুষের কাছে সেই সব অতীত গৌরবের তথ্য পুস্তকাকারে প্রকাশিত করে পৌঁছে দেওয়া, এ যেন তাঁর জীবনের ব্রত হয়ে উঠেছে।
লেখক বহু পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। ২০০৭ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন যেটি ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সম্মেলনে ঐ বছরের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পুরস্কার ‘সুশীলাদেবী বিড়লা স্মৃতি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বহু প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্রে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর অজস্র গবেষণামূলক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও দূরদর্শনের বহু চ্যানেলেই তাঁর গবেষণামূলক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়।
ভবিষ্যতে এই লেখকের আরও কয়েকটি গবেষণামূলক গ্রন্থ খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে।
লেখক বহু পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। ২০০৭ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন যেটি ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সম্মেলনে ঐ বছরের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পুরস্কার ‘সুশীলাদেবী বিড়লা স্মৃতি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বহু প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্রে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর অজস্র গবেষণামূলক রচনা প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়াও দূরদর্শনের বহু চ্যানেলেই তাঁর গবেষণামূলক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়।
ভবিষ্যতে এই লেখকের আরও কয়েকটি গবেষণামূলক গ্রন্থ খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)
ভার গৌরব তারানাথ তর্কবাচস্পতি (১৮১৮-১৮৮৪) বাংলার তথা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত। বিস্মৃত-প্রায় এই শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত, বহুমুখী প্রতিভাময় এই অনন্য ব্যক্তিত্বর জন্মভূমি অম্বিকা কালনা। তাঁর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি ২২ খন্ডে সমাপ্ত ‘বাচস্পত্যবিধান’ (১৮৭০-৮৪) আজ সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। একক ব্যক্তি লিখিত এত বড় কর্মকাণ্ড যা এক ব্যক্তিক জীবনে এককথায় অসম্ভব। তাঁর ‘শব্দস্তোমমহানিধি’ (১৮৬৯-৭০) অভিধান গ্রন্থটিও সারা বিশ্বে সমাদৃত। মহাবীর চরিত, ’ছন্দোমঞ্জরী’, ‘গয়ামাহাত্ম্য’, ‘গয়াশ্রাদ্ধ পদ্ধতি’, ‘গায়ত্রী ব্যাখ্যা’, ‘মুদ্রারাক্ষস’, ‘বেণীসংহার’, ‘দশকুমার চরিত’, ‘বৃত্তরত্নাকার’, ‘কাদম্বরী’ সহ অসংখ্য গ্রন্থ রচয়িতা তারানাথ লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গেছেন। ১৮৭০ খ্রি: লেখা শেষ গ্রন্থ “শব্দস্তোম মহানিধি” সংস্কৃত ভাষাসাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্বদ যা পৃথিবীর সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে সংস্কৃত ভাষাচর্চা হয়, সেখানেই পড়ানো হয়। এমন বিরল, মহাপ্রতিভা, ভারত গৌরব পণ্ডিত তারানাথ তর্কবাচস্পতির উপর এই গ্রন্থ সম্পাদনা করার প্রবল ইচ্ছে আমার মধ্যে ঘনীভূত হতে থাকে। অবশেষে শ্রী মানবেন্দ্র পাল, শ্রী যজ্ঝেশ্বর চৌধুরী ও শ্রী সিদ্ধেশ্বর আচার্য্যের লেখাগুলিকে একত্রিত করে এই গ্রন্থ নির্মিত হল। আমি কৃতজ্ঞতা ও ঋণস্বীকার করি ‘বসু প্রকাশনী’ (কালনা)-র কর্ণধার তথা প্রকাশক শ্রী দিলীপ বসুর কাছে। তাঁর পরিবেশনায় এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শ্রী মানবেন্দ্র পাল লিখিত ‘ভারত গৌরব পণ্ডিত তারানাথ’ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এই লেখাটি এই গ্রন্থে সংযোজিত করা হয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানাই পল্লীবাসী পত্রিকার সম্পাদক শ্রী তরুণ সেন মহাশয়কে। তার পল্লীবাসী পত্রিকায় ”একটি চিঠি” বিভাগে (২০/১০/১৪) তারিখে শ্রী সুধীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের একটি লেখা প্রকাশিত হয়, তারানাথ তর্কবাচস্পতির উপর। ওই চিঠিটি বর্তমান গ্রন্থের ভুমকায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া “স্মরণে মননে দ্বিশত জন্মবর্ষ অতিক্রান্ত : ভারত গৌরব তারানাথ তর্কবাচস্পতি” শীর্ষক অধ্যাপক কল্যান ভট্টাচার্যের একটি লেখা প্রকাশিত হয়। ওই লেখাটি গ্রন্থের “মুখবন্ধ”-এ লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিশেষ এবং বিরল সারস্বত প্রতিভার অধিকারী পণ্ডিত তারানাথ তর্কবাচস্পতি-র উপর এই গ্রন্থ নির্মাণ করতে পেরে ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার অন্তরাত্মার টানে যে গ্রন্থ নির্মাণের ভাবনায় আমি নিয়মিত ভাবনা ও শ্রম ব্যবহার করতাম আজ তা সম্ভব হওয়ায় আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
মানবেন্দ্র পাল
১৯২৬ খ্রিঃ ২৩ এপ্রিল কালনা শহরের এক প্রগতিশীল ব্রাহ্ম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সাহিত্যিক মানবেন্দ্র পাল। পিতা জ্ঞানেন্দ্রনাথ পাল ও মাতা সুচরিতা পালের কছে থেকেই সাহিত্যিক হওয়ায় বংশগত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ তিনি পেয়েছিলেন। দেব সাহিত্য কুটির, প্রবাসী, ভারতবর্ষ, মাসিক বসুমতী, দৈনিক বসুমতী, সাপ্তাহিক বসুমতী, শনিবারের চিঠি, গল্পভারতী, কথাসাহিত্য, দেশ, প্রসাদ, শুকতারা, নবকল্লোল সহ সমস্ত প্রথম শ্রেণির সাহিত্য পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। তাঁর লেখা নাটকগুলি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। বেতারেও তাঁর নাটক প্রচারিত হয়েছে। কালনার এই কৃতী সন্তান মানবেন্দ্র পাল বিশ্বভারতীর গ্রন্থণ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১১ খ্রিঃ ২০ নভেম্বর তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে।শ্রী যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী
প্রখ্যাত রাঢ় গবেষক শ্রী যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী ১৯৪০ খ্রিঃ ৭ জুন বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত শ্রী শ্রী যোগাদ্যা দেবীর সুপ্রাচীন পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত ক্ষীরগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলিকাতার সিটি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট হওয়ার পর ১৯৬৫ খ্রিঃ United Commercial Bank - এ কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৭-তে কর্মরত অবস্থায় এম.কম.পাশ করেন। পরবর্তীকালে ওই ব্যাঙ্কে উচ্চপদস্থ অফিসার পদে আসীন হন। মোট ৩৬ বছরের কর্মজীবনের ফাঁকে এবং অবসর জীবনে লেখেন একাধিক কালজয়ী গ্রন্থ - বর্ধমান ইতিহাস ও সংস্কৃতি (তিন খণ্ড), শ্রী চৈতন্যদেব ও সমকালীন নবদ্বীপ, যুগস্রষ্টা শ্রী চৈতন্য, আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা ও গ্রন্থপঞ্জী, রাঢ়ের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, নবদ্বীপ বিদ্যাসমাজের ইতিহাস, আঞ্চলিক ইতিহাস সাধনা, পদাবলিতে নিমাই সন্ন্যাস, যুগস্রষ্টা শ্রীচৈতন্য। এছাড়া রয়েছে একাধিক সম্পাদিত গ্রন্থ। তাঁর গ্রন্থের সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে - দেশ, আনন্দবাজার, বর্তমান সহ বিভিন্ন প্রথম শ্রেণির বাংলা দৈনিক ও পত্র-পত্রিকায়।শ্রী সিদ্ধেশ্বর আচার্য
জন্ম ১৯৩৬ সাল। পিতা কলিকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। সমাজসেবা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, পুনাতত্ত্ব গবেষণায় এবং সর্বোপরি চলচ্চিত্র আন্দোলনে লেখকের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৯৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজশিক্ষা সম্প্রসারণ আধিকারিকের পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর কালনা পৌরসভার উপ-পৌরপতির পদ অলস্কৃত করেন। বর্তমানে ‘সিনে সোসাইটি’ কালনার সম্পাদক ও কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্বটা কেন্দ্রের সভাপতি পদে আসীন আছেন। কালনা ট্যুরিস্ট গাইড (বাংলা ও ইংরাজী), ‘আমার গল্পগুলি’, বর্ধমান জেলা নারী-ইতিহাসের সন্ধানে, ‘চিন্তা-বিচিত্রা’ সহ বিবিধ গ্রন্থ রচনা করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্বর্ধনা।মূল্য : ১২০ টাকা মাত্র(একশত কুরি টাকা মাত্র)
“ভগবান-দর্শন” গ্রন্থটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ঈশ্বর-চিন্তা এবং তা আপন দৃষ্টিকোণ তেকে প্রকাশ করা। সেই অর্থে গ্রন্থটি মৌলিক। লেখক এখানে ঈশ্বর সম্পর্কে যা বোঝেন তা অবলীলায় লিখে গেছেন। লেখনির নিজস্ব কিছু গুন থাকে। প্রকাশভঙ্গি, শব্দচয়ন, ভাষা-মাধুর্য্য, চিন্তার বিন্যাস ও তার প্রকাশ ইত্যাদি ইত্যাদি। লেখক যেহেতু প্রথাগত বা প্রচলিত শিক্ষার সুযোগ পাননি এবং ৯৩ বছর বয়সে কলম ধরেছেন - সেই কারণে লেখনিতে নানাবিধ অসঙ্গতি রয়েছে - প্রকাশনীর সম্পাদক হিসাবে এই গ্রহন্থ প্রকাশের নৈতিক কারণ হিসাবে বলা যায় - এই গ্রন্থ এক অশীতিপর বৃদ্ধের শেষ জীবনাকুতি, তার ঈশ্বর ভাবনাকে শব্দের মোড়কে তুলে ধরাই এখন তার বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ। পাঠকবর্গকে সনিবন্ধ অনুরোধ গ্রন্থের ক্রটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করে ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধের ক্ষয়িষ্ণু কণ্ঠে জাগ্রত ভগাবন-দর্শনটুকু সদ্চিত্তে গ্রহণ করুন। হয়ত ছত্রে ছত্রে মিলবে তাঁর অমৃতবাণী। এককথায় ‘ভগবান দর্শন’ গ্রন্থটি এক উপলব্ধ দর্শন, গভীর মননশীল চিন্তনের লেখ্যরূপ।
রাধাগোবিন্দ সাহা
বয়স ৯৩। শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাথমিকের গণ্ডি অনুত্তীর্ণ। ব্যক্তিগত অক্ষমতা এর জন্য দায় নয়; দায়ী তীব্রতর দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই আর জীবনসংগ্রামে প্রথাগত শিক্ষা ব্যতিরেকে সাফল্য অর্জনের প্রচেষ্টা এবং বলাবাহুল্য সাফল্য লাভ করা। জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার পেয়ারপুর গ্রামে। পিতা মাকনলাল সাহা ও মাতা ললিতা সাহা। ব্যবসায়িক জীবনের অপরাহ্নে ঈশ্বর চিন্তার মধ্য দিয়ে ভারত আত্মার যে চেতনাপ্রবাহ তা অনুধাবণ করার মধ্য দিয়েই এই গ্রন্থের প্রয়াস ও প্রেরণা লাভ। অশীতিপর কলমের টানে ভগবান-অনুভূতি নিজের আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন লেখক এই গ্রন্থে। না কোনো ঈশ্বরতত্ত্ব এখানে নেই। কোনো বিশেষ ধর্মের আলঙ্কারিক বা প্রায়োগিক ব্যাখ্যাও বিরল এই গ্রন্থে। একানে রয়েছে ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধের আপন ভাবনার উদ্ভাবিত ঈশ্বর চিন্তা। সেই চিন্তায় তাঁর চিত্তে নির্মিত হয় এক চিন্ময়ী ভগবান-দর্শন, ভগবান-আলেখ্য। লেখক ওই দর্শন আলোকিত করেছেন আপন লেখনী দক্ষতায় এই গ্রন্থে। ভাষার প্রাচুর্য্য এখানে বিরল, ভাবনার সুগঠিত বিন্যাসও এখানে নেই, কিন্তু এখানে যা আছে তা সাহিত্য সৃষ্টির মূলসুর যা লেখনীর ছত্রে ছত্রে ধরা পড়ে - "Look in the heart and write", এককথায় উচ্চতর দার্শনিক ভাবনায় উদ্ভাসিত এই গ্রন্থ।
“বিজ্ঞানের আলোকে বিবেকানন্দের বাণী” গ্রন্থটির মৌলিকত্ব গ্রন্থের পরিপূর্ণ আবহে; গ্রন্থ-নির্মাণের ঐহিক প্রচেষ্টায় বহুজন হীত সাধনে এবং লেখকদ্বয়ের দায়বদ্ধ লেখনীর নৈব্যক্তিক মননে। গ্রন্থটর একক উদ্দেশ্য বিজ্ঞানের আলোকে বিবেকানন্দের বাণীর আনুবীক্ষণিক ব্যাখ্যা নয়, বরং বিবেকানন্দ কথিত পূর্ণতা প্রকাশের মাধ্যমে শিশুর সর্বাঙ্গীন বিকাশের মৌলিক ধারণা প্রদান। আর এখানেই বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য নির্ভর গ্রন্থটি হয়ে উঠেছে - জীবন-চর্চার, জীবন-শৈলীর আকর গ্রন্থ।
ডাঃ ভোলানাথ চক্রবর্ত্তী
ডাঃ ভোলানাথ চক্রবর্ত্তীর জন্ম ১৯৫১ সালে। কালনা কলেজে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপনার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণামূলক সাহিত্যচর্চা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদের “মানুষ ও পরিবেশ” গ্রন্থটি লেখক-স্বীকৃতি অর্জনে লেখককে বিশেষ সাহায্য করে; এর পর নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মাতক-সাম্মাণিক স্তরের “অ্যালগি” গ্রন্থ রচনা করেন। “সািইটোজেনেটিক্স”-এর বিষয়ের উপর গবেষণা করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সালে পি-এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে তার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। “বিজ্ঞানের আলোকে বিবেকানন্দের বাণী” গ্রন্থটিতে লেখক বিবেকানন্দের বাণীর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে শিশুর সর্বাঙ্গীন বিকাশের মৌলিক ধারণা প্রদানের প্রচেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন।ডাঃ স্যমন্তক চক্রবর্ত্তী
জন্ম ১৯৯০ সালে, কালনায়। Acme Academy থেকে ICSE এবং ISC পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে West Bengal University of Health Sciences এর অন্তর্গত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Department of Health and Family Welfare-এর অধীনে Medical Officer রূপে কর্মরত। ডাঃ সম্যন্তক চক্রবর্ত্তী এই গ্রন্থের অপর লেখক ডাঃ ভোলানাথ চক্রবর্ত্তীর সুযোগ্য পুত্র। এই গ্রন্থ রচনায় তাঁর সুনিপুন লেখনিতে ফুটে ওঠে বিবেকানন্দের পূর্ণতার বৈজ্ঞানিক আবেশ এবং তথ্য নির্ভর ব্যাখ্যা।মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র(দুইশত টাকা মাত্র)
”গৌর গৌরবাড়ি গৌরপাড়া” গ্রন্থটিতে তিনটি বিষয়কে স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে – গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর জীবন সংক্ষেপ, কাটোয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং গৌর পাড়ার মাধুর্য। এখানেই গ্রন্থটির প্রাসঙ্গিকতা এবং ঐতিহাসিক অবস্থান। কাটোয়ায় মহাপ্রভুর আগমন পর্ব, কেশব ভারতীর কথা, মহাপ্রভুর সংসার ত্যাগ, সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ – গৌর পর্বে রয়েছে। গৌরাঙ্গ বাড়ি, গৌরাঙ্গ ঘাট, মাধাই তলা বিষয়ে কাটোয়ার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে এবং সবশেষে গৌরপাড়া পর্বে গৌরপাড়ার মাধুর্য যেমন সখীর আখড়া, রাধামাধব, গৌরাঙ্গ পাড়ার দেবদেবী ইত্যাদি বিষয়গুলি রয়েছে।
ড.কালী চরণ দাস
- বর্তমানের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেব গঞ্জ জেলার ও থানা বারহারওয়ার অন্তর্গত গোয়াল খোর গ্রামে ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৫ বাং সালে জন্ম। বাবা ও মা-র নাম যথাক্রমে শ্রীপতিভূষণ দাস ও শ্বেতবরণী দাস। লেখাপড়া – এম.এস.সি. (পদার্থ বিদ্যা, স্বর্ণপদক প্রাপ্ত), পি.এইচ.ডি.। স্কুল, কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পর কাটোয়া কলেজ থেকে রিডার হিসেবে অবসর গ্রহণ। দেশে বিদেশে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব নিয়ে প্রায় ছাব্বিশটি গবেষণা পত্র সহ তিনটি বই, কাটোয়া দর্শন (ইতিহাস), গ্রহের নাম পৃথিবী (লোকপ্রিয় বিজ্ঞান) ও কথা কও অনাদি অতীত (ইতিহাস ভিত্তিক ছোটগল্প) প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান বাড়ি – ক্রন্দসী, কলেজ পাড়া, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান। বিজ্ঞান পরিষদের সম্পাদক, ইন্দ্রাণী পরিষদঃ (ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব ও সংস্কৃতি) এর সভাপতি ও সুজন সন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা।সঞ্জীব কুনডু
– জন্ম ১২.০১.১৯৭০ । স্থায়ী ঠিকানা – দেপাড়া, বড়কাশিয়াড়া, পর্ব বর্ধমান। বর্তমান কর্মক্ষেত্র ও বসবাস – কাটোয়া সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সংস্থা, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান।
’সাধারণ ভাবে পড়াশোনায় যখন ভীষণ ভাবে আগ্রহী হলাম, ঠিক তখনই কলিকাতার সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হিসাবে প্রবেশ করা। চর্চা চলছিল শিল্প ও শিল্পীকে নিয়ে। একটা সময় মনে এল শপথ – বড় কিছু করার। স্নাতক স্তর তেকে স্নাতকোত্তরে যাওয়া। বিষয় ছিল, ভাস্কর্য্য । স্থান – রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক চ্যালেঞ্জ, অনেক বড় সুযোগ হাতছাড়া করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অসমাপ্ত রেখেই পশ্চিমবঙ্গের সরকার প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে চারু ও কারু শিল্প শিক্ষক পদে নিযুক্ত হওয়া, এবং ….!”
সমীর চট্টোপাধ্যায়
- সাহিত্যসাধক তথা প্রবন্ধকারের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে শ্রীচৈতন্যদেবের সন্ন্যাসভূমি তথা শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দিরের সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে বড় হওয়া। শিক্ষান্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্তবিভাগে (বৈদ্যুতিক শাখা) ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পরে সাহিত্যচর্চা শুরু তবে ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের হস্তমুদ্রিত ম্যাগাজিনে ‘পূর্বাশা’ প্রথম লেখা প্রকাশ পেয়েছিল। ২০০৪ খ্রিঃ হতে স্থানীয় নানা পত্রপত্রিকা যথা ধূলামন্দির, গোপন খবর, অজয়, অধরা, সমাজের সাক্ষী, মুক্ত কলম, ময়ূরাক্ষী, রাধামাধব, শালপিয়াল, তুলসীচন্দন, স্বস্তিকা, জর্গরী, মাতৃশক্তি, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রকাশিত বাঙালী জাগরণ মঞ্চ, খড়গপুর সমাচার ইত্যাদি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথ্যমূলক রচনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ খ্রিঃ কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত বইমেলায় যুগ্মলেখক হিসাবে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ – গৌর গৌরবাড়ী গৌরপাড়া। তার পরে একক ভাবে গ্রন্থ প্রকাশিত হয় – বাংলা সাহিত্যের অঙ্গন হতে (১ম পর্ব), স্মরণে – মননে শ্রীচৈতন্যদেব, অতীতের পৃষ্ঠা থেকে , যত সব পুরাতনী, কুইজ অন শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীচৈতন্য স্মৃতি কথা (১ম পর্ব) এবং মন্দিরময় কলকাতা মহানগরী। ব্যক্তিগত জীবনে নানা দেবমন্দির তথা নানা কৃতিপুরুষদের জন্মস্থান ভ্রমণের নেশা। প্রত্নতাত্ত্বিক ও অতীতের খ্যাতিমান মানুষদের বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে তুলে ধরাই লেখকের একান্ত প্রচেষ্টা। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এই লেখক জেলার শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য মহলে সুপরিচিত নাম।মূল্য : ১০০ টাকা মাত্র(একশত টাকা মাত্র)
কাটোয়ার প্রাচীন অধিবাসী, লেখক শ্রীসমীর চট্টোপাধ্যায় শ্রীচৈতন্য-জীবন ও সাহিত্য গবেষণায় ব্রতী হয়ে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের ঐতিহাসিক আবির্ভাব এবং সেই সঙ্গে তার ৫০০ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে নানা পত্র-পত্রিকায় বিগত শত বর্ষ ধরে যেসব প্রবন্ধ, চিঠি, আলোচনা, সমালোচনা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে তার একত্রিত করে একটি পূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তটভূমি প্রকাশনীর পক্ষ থেকে তা সাদরে গ্রহণ করি। আমার মনে হয়েছে এই গ্রন্থের ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতা হয়েছে। ঐতিহাসিক পেক্ষাপটি শ্রীচৈতন্যদেবের নানাবিধ ভূমিকা এই গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সমাজ সংস্কারের ভূমিকায়, ধর্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজকে মধ্য যুগের অন্ধকার থেকে আলোকে নিয়ে আসার ভূমিকায়, কুসংস্কার বর্জন করার ভূমিকায়, নাম সংকীর্তন প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাজের উঁচু নীচু সকলকে এক সারিতে নিয়ে আসার ভূমিকায়, বিধর্মীদের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধের ভূমিকায়, শিক্ষাবিস্তারে, সাহিত্যে, সর্বত্রই তিনি উপস্থিত ছিলেন। আমরা িএ সমস্ত ভুলে গিয়ে তার আদর্শের ধারাকে অবশ্য পালনীয় না করে শুধু দেবতা জ্ঞানে নৈবিদ্য নিবেদন করে পূজা করে চলেছি। এই গ্রন্থ আমাদের নতুন ভাবনায়, নতুন আলোকে চৈতন্যময় করে তুলবে।
শ্রীচৈতন্য স্মৃতিকথা (প্রথম পর্ব) ১৪১৬ বঙ্গাব্দে ১লা মাঘ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হওয়ার পর যে লেখাগুলিকে প্রকত্রিতকরণের প্রাসিকতায় উজ্জ্বল, সেই লেখাগুলিকেও এই গ্রন্থে আনা সম্ভব হয়েছে। এই গ্রন্থে কালনা নিবাসী শ্রীচৈতন্য অনুরাগী শ্রীচৈতন্যের নানা লীলা ও লীলাস্থান গুলি নিয়ে পদাকারে রচনা গুলিকে সংযোজিত করা হয়েছে।