Showing posts with label Short Stories and Novels. Show all posts
Showing posts with label Short Stories and Novels. Show all posts
‘গল্পের মিছিলে’ দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের এক অনন্য গল্প সংকলন। লেখক তাঁর দীর্ঘ জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতা, কল্পনা এবং বাস্তবের নির্যাস এক মৌলিক মিশ্রণে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। ‘গল্পের মিছিলে’ তার নির্দিষ্ট পরিমণ্ডলের বাইরে এক অনন্য জগৎকে আমাদের সামনে দর্পনের মতো প্রতিভাত করতে সক্ষম হয়েছেন। গ্রন্থটির সাফল্য এখানেই। লেখকের সাফল্যও এখানে। লেখক যখন বৃহত্তর পাঠক সমাজের মনন ও সাহিত্যচেতনাকে জাগ্রত করতে পারেন তাঁর মৌলিক লেখনীর মাধুযে, তখনই গ্রন্থ হয়ে ওঠে যূগোত্তীর্ণ। বর্তমান গ্রন্থে সেইসব উপকরণ রয়েছে যা পাঠক সমাজকে প্রভাবিত করবে, ডেকে নেবে নিজের অন্তঃস্থলে।
দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়
– লেখখক শ্রী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম শিল্পনগরী জামশেদপুরে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে। জামশেদপুরেই সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা লাভ করে বার্ণপুরে ইস্পাত-শিল্পে কর্মজীবন শুরু। অবসর গ্রহণের পর অম্বিকা কালনায় আগমন। অনিয়মিত সাহিত্য চর্চা এখানেই নিত্য সাধনায় পরিবর্তিত হয়। ২০১৬ খৃ: প্রকাশিত হয় “চাণক্য নীতির সুধামৃত” গ্রন্থটি। সব পাঠক মহলেই এই গ্রন্থ সমাদৃত হওয়ায় চাণক্যর উপর দ্বিতীয় গ্রন্থ “চাণক্য শ্লোক সুধামৃত” গ্রন্থটি নির্মাণে প্রেরণা লাভ করেন। কথা সাহিত্যিক শ্রী অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চাণক্য নীতির উপর লেখা গ্রন্থগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেন।শ্রী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং ব্যক্তিগত চর্চায় কবিতাকে রেখেছেন তাঁর সাহিত্যচর্চা অন্যতম মাধ্যম হিসাবে। বর্তমান গ্রন্থ ‘গল্পের মিছিলে’ লেখক গল্প রচনায় যে কতটা মৌলিক এবং সাবলীল তা প্রতিভাত হয়েছে। মনন চর্চার আন্তরিক এবং বলিষ্ঠ প্রয়াস বর্তমান গ্রন্থ।
মূল্য : ৩০০ টাকা মাত্র (তিনশত টাকা মাত্র)
সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য
জন্ম কালনা শহরে ১৯৩৬ সালে। পিতা বিমলানন্দ আচার্য্য, কালনার প্রথম ভুমিপুত্র কালনাতা হাইকোটের আইনজীবী। ১৯৬০ সালে গ্রামসেবকের সরকারি চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু এবং ১৯৯৪ সালে এক্সটেনসন অফিসার সোশ্যাল এডুকেশন পদ থেকে অবসর পরে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কালনা পৌরসভার উপপৌরপতি এবং ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত D.P.E.P.-তে State Co-Ordinator, Comunity Mobilization হিসাবে কার্য উপলক্ষ্যে সারা পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ।
সাংবাদিক হিসাবে পাক্ষিক ‘পল্লীচিত্র’ পত্রিকার ১১ বচর সম্পাদনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি ছিলেন ‘বর্ধমান ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব-চর্চাকেন্দ্রে’। বর্তমানে সভাপতি ‘কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্র’ এবং সম্পাদক ‘সিনে সোসাইটি’। ভ্রমণ, ছোটগল্প, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপর একাধিক বই লিখেছেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর সিনে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডয়ার পূর্বাঞ্চলিয় শাখায় প্রথম Life Time Achievement Award
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)
জীবনের নানান সন্ধিক্ষণে অনুভূত অভিজ্ঞতার নির্যাস লেখকের গল্পগুলি। গল্পগুলি লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার রোমস্থন ও নির্যাস। ‘নিজস্বী’ ও ‘চিন্তা’ পত্রিকায় বিভিন্ন সময় প্রকাশিত এই গুল্পগুলি পাঠকবর্গের স্বনিবন্ধ অনুরোধে দুই মলাটের স্বল্প পরিসরে প্রকাশ করার মানসিক ইচ্ছা স্ফুলিঙ্গের আকারে সম্প্রসারিত হয় লেখকের পুত্রের অনুরোধে। অবশেষে জীবনের নানান সময়ে লেখা গল্পগুলিকে সংকলিত করতে পারায় লেখকের বহুদিনের স্বপ্নপূরণ সম্ভবপর হল। যার অনুপ্রেরণায় এই গল্প লিখন তিনি লেখকের সহধর্মিনী অপরাজিতা চক্রবর্তী। যে জীবন হারিয়ে গেছে, যে জীবন আর কখনো ফিরবে না, সেই প্রবাহমান হারিয়ে যাওয়া জীবনের নানা খন্ড চিত্রই এই গ্রন্থে ধরা পড়েছে। একদিকে পাঠকবর্গের সনিবন্ধ অনুরোধ, অন্যদিকে এই গভীর জীবনবোধ ও তার তাগিদ, আরেকদিকে অপত্য অনুপ্রেরণা এই সমিলিত প্রচেষ্টাই এই গ্রন্থ প্রকাশের অঙ্গীকার।
শুভাশিস চক্রবর্তী
- কবি শুভাশিস চক্রবর্তীর জন্ম কালনা মহকুমার অন্তর্গত রামেশ্বরপুর গ্রামে। ১৯৫৬ সালের ৫ই জানুয়ারী। গ্রামীণ আবহাওয়ায়, সারল্যময় শ্যামলিমায় কবিসত্ত্বার সজীব চারা এখন স্বাভাবিক উদ্ভিদের ন্যায় – ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’ বেহুলা নদী, বাঁশ বন, দিগন্ত বিস্তত ধানখেত, পুকুর পাড়, এঁদো ডোবা, পাখপাখালি, গাছগাছালি সহ এক প্রকাণ্ড গ্রামীণ জীবন ও মানবতা তাঁর কবিত্বের আবাহনী শক্তি।
শুভাশিস চক্রবর্তী সঙ্গীত জগতের এক উল্লেখযোগ্য নাম। সঙ্গীত সাধনায় নিজের প্রতি সুবিচার করলেও লেখনি প্রতিভার প্রতি দীর্ঘ অবিচারের ইতি ঘটল এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
আধুনিক কবিতা লেখায় প্রেরণা সহোদর দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছে। গল্প লেখার প্রেরণা সহধর্মিনী অপরাজিতা চক্রবর্তী ও পুত্র দেবায়ন চক্রবর্তীর কাছ থেকে। তাঁদের ঐকান্তিক অনুপ্রেরণায় এই গ্রন্থ প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। নিজ লেখনির প্রতি সুবিচার সম্ভবত করা হল এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। গ্রন্থের মধ্যে থরে-বিথরে শব্দের মোড়কে সজীব হয়ে আছে এক জীবনালেখ্য, এক পরম্পরা, এক প্রবাহমান ঐতিহ্য।
মূল্য : ২২৫ টাকা মাত্র (দুইশত পচিশ টাকা মাত্র)
সন্ধ্যা সাহা বিরচিত “ইন্দিরা উপাখ্যান” উপন্যাসটি নারীকেন্দ্রিক। এক নারীর চাওয়া-পাওয়ার জীবনেতিহাস-এ মননের নানা রঙ রামধনুর মত ফুটে ওঠে স্বচ্ছ দর্পনে। লেখিকার আপাত-সরল সহজ বর্ণনা-ধর্মী লেখনিতে রয়েছে বৃহত্তর জীবনের হাতছানি। ইন্দিরা যেন হয়ে ওঠেন আমাদের ঘরের মেয়ে, আমাদের সহধর্মিনী, আমাদের দিদি-বোন। সে যেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’, সে যেন কাদম্বরী যে ‘মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই।’ একটি মধ্যবৃত্ত সাংসারিক প্রেক্ষাপটে লেখনীর গুণে ইন্দিরা হয়ে উঠেছেন সব নারীর অন্দরমহল, সব নারীর ফল্গুধারা, নারীর আপন মনন। সন্ধ্যা সাহার ‘ইন্দিরা উপাখ্যান’ প্রকৃত অর্থে হয়ে উঠেছে এক অনন্য উপন্যাস।
সন্ধ্যা সাহা
সন্ধ্যা সাহা, পিতা স্বর্গীয় দুর্গাপদ সাহা, মাতা স্বর্গীয় পারুল লতা সাহা, স্বামী শ্রী উদয় কুমার সাহা। পেশা - গৃহবধূ। ছেলেবেলা থেকেই লেখাযোখা ও অভিনয়ের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট। সংসার জীবনে মেয়েদের প্রতি যত্নবান ও অবস্থায় পরিপ্রেক্ষিতে লেখার প্রতি কিছুটা শিথিলতা আসে। বর্তমানে কবিতা, ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে চলেছে। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সাহিত্য সংস্থার সাথে যুক্ত। রাজ্যে এবং রাজ্যের বাহিরে কবি সম্মেলনে অংশগ্রহণ, স্বরচিত গল্প ও কবিতা পাঠ করে বিভিন্ন সংস্থা দ্বারা সম্মানিত ও পুরস্কার অর্জন দিনের পর দিন অগ্রগতির দিকে। লেখাই এখন ধ্যানজ্ঞান। সম্প্রতি বাংলাদেশ কবিতা সংসদ দ্বারা আমন্ত্রিত হয়ে সম্মানিত ও সাহিত্য পদক পুরস্কার অর্জন। বাংলাদেশর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। কয়েকটি সংকলনও প্রকাশিত হয়েছে।
শাশ্বত সরস্বতীর সাধনায় আদর্শের পথে সত্য ও সুন্দরের সৃজনী শিল্পে ব্রতী লেখিকা অবশিষ্ট জীবন কাটিয়ে দিতে চান সাহিত্য সৃষ্টি ও গ্রন্থ নির্মাণে। অসংখ্য গ্রন্থের লেখিকা তাঁর লেখনি শিল্পসুষমা নিয়ে আজও সমুজ্জ্বল।
শাশ্বত সরস্বতীর সাধনায় আদর্শের পথে সত্য ও সুন্দরের সৃজনী শিল্পে ব্রতী লেখিকা অবশিষ্ট জীবন কাটিয়ে দিতে চান সাহিত্য সৃষ্টি ও গ্রন্থ নির্মাণে। অসংখ্য গ্রন্থের লেখিকা তাঁর লেখনি শিল্পসুষমা নিয়ে আজও সমুজ্জ্বল।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)
প্রকৌশলী উদয় কুমার সাহা, সারাজীবন কাটিয়েছেন যান্ত্রিক পরিমণ্ডলে। কিন্তু লোহা লক্করের কঠিন বস্তুর মধ্যে কর্মজীবন অতিবাহিত করলেও তার ভিতরে যে একটি শিল্পী মন আছে, কাব্যিক চেতনা আছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জীবনের পড়ন্তবেলায়। লেখক স্বত্তা জেগে উঠেছে অবসর জীবনে কবি সাহিত্যিকদের সান্নিধ্যে। সম্প্রতি গদ্য দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও খুব অল্পদিনের মধ্যেই একের পর এক কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সব মিলিয়ে সফল রচয়িতা হিসেবে বাংলা সাহিত্য, ভুবনে সমকালীন কবি সাহিত্যকদের মধ্যে একটা পরিচিতি করে নিয়েছেন।
তাঁর লেখাগুলি পড়েছি, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা আঙ্গিকে লেখা কবিতাগুলি সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত। কোথাও কোন জটিল শব্দ কিংবা কাল্পনিক কাহিনির অবতারণা নেই। সরল মনে দীর্ঘদিনের জমে থাকা মনের ভেতর থেকে উঠে আসা রুচিশীল শব্দগুলিকে দিয়ে অতি অল্পদিনে নিরলস কাব্যচর্চায় কবিতার মালা সাজিয়েছেন।
আমাদের চলমান সমাজ ও দুই বাংলার বিভিন্ন ঘটনাকে লেখক তার জীবনের তাত্ত্বিক অনুভূতি দিয়ে লুচিশীল শব্দ বিন্যাসে মানসিক চেতনায় সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর লেখাগুলি সকল শ্রেণির পাঠকের স্বপরিবারে পড়বার মত, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
কবি উদয় কুমার সাহা (দেব কুমার) ভারতের বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার মাধবপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শম্ভুনাথ সাহা, মাতা সরস্বতী সাহা। মা বাবার প্রথম সন্তান। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পেশাগত জীবন কাটিয়েছেন ঝাড়খন্ড, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। লোহা লক্কর, ইঞ্জিন এরূপ যন্ত্রদানবদের নিয়ে কর্মজীবন অতিবাহিত করে অবসর জীবনে সাহিত্য সভায় রুচিশীল গুণীদের সান্নিধ্য লাভ এবং তাঁদের সাথে পরিচিত হয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। ভালোবাসেন পরিবার ও প্রাণখোলা হৃদয়বান মানুষদের। স্ত্রী কবি সন্ধ্যা সাহার সাথে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় লিখছেন। সাহিত্যের টানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় কবি সাহিত্যিকদের সাথে মিশেছেন, দেখেছেন অনেক দর্শনয়ি স্থান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কবি সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। তার রচিত কবিতা ও প্রবন্ধগুলি মা মাটি ও মানুষদের নিয়ে সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় তার রচিত কবিতা, প্রবন্ধ প্রকাশ হচ্ছে। মানিক মজুমদার জীবনী সংকলন ‘প্রীতিডোরে বাঁধা’ গ্রন্থের সম্পদক মণ্ডলীর সদস্য। তিন কন্যা সন্তানের জনক। অবসরে এখন নিরলস সাহিত্য চর্চায় ব্রত করেছেন।
বর্তমানগ্রন্থে ৩৫টি প্রবন্ধ সংকলিত কার হয়েছে। প্রবন্ধগুলির বিষয়ভিত্তিক বৈচিত্রতা প্রশংসার দাবী রাখে। লেখনি গুণে প্রবন্ধগুলি হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত, বাগ্ময়। কোথাও সরলরৈখিক কোথাও বা বহুমাত্রিক বিচরণে প্রবন্ধকার তার লেকক সত্ত্বার সুবিচার করেছেন।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)
অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
- জন্ম-১৩৩৭, ইং ১৯৩১। ঢাকা জেলার রাইনাদি গ্রামে। যৌথ পরিবারে তিন বড় হয়েছেন। সোনারগাঁ পানাম স্কুলের ছাত্র। দেশভাগের পর ছিন্নমূল। এদেশে তিনি তখন নিরুপায় বিধ্বস্ত পরিবারটির একমাত্র অবলম্বন। যখন যে কাজ পেয়েছেন সানন্দের তাই গ্রহণ করেছেন। কখনও ট্রাকক্লিনার, কখনও আলমবাজার জুটমিলের শ্রমিক, অন্নাভাব এবং অর্থাভাবের তাড়নায় শেষে মার্চেন্ট নেভিতে কোলবয়ের কাজ । পরে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক – ১৯৫৬ সালে বি.কম. পাম করেন। বি.টি.ও. পাশ করেন। প্রধান শিক্ষকও ছিলেন একটি সিনিয়র বেসিক স্কুলের। ১৯৬৩ সালে পাকাপাকিভাবে চলে আসেন কলকাতায়। কখনও কারখানার ম্যানেজার, কখনও প্রকাশক সংস্থার উপদেষ্টা শেষে সাংবাদিক। প্রথম গল্প বহরমপুরের ‘অবসর’ পত্রিকায়। সমুদ্রমানুষ লিখে পান, ‘মানিক স্মৃতি পুরস্কার’ ১৯৫৮। ১৯৯১ সালে বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৩ সালে ভূয়ালকা পুরস্কার পান। মতিলাল পুরস্কার, তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুধা পুরস্কারে তিনি সম্মানিত। বঙ্গিম পুরস্কার পান ‘দুই ভারতবর্ষ’ উপন্যাসের জন্য ১৯৯৮ সালে। ‘পঞ্চাশটি গল্প’ সংকলনের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন ২০০১ সালে। শরৎ পুরস্কার পান ২০০৫ সালে।
২০০৮-এ সুরমা চৌধুরী মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ইন লিটারেচার অ্যাণ্ড জার্নালিজম-এ ‘নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে’ উপন্যাসটি সম্মানিত হয়। সম্মানমূল্য দশ লক্ষ টাকা। কথিত হয়ে থাকে উপন্যাসটি এই উপমহাদেশের বিবেক।
তাঁর উল্লেকযোগ্য সৃষ্টি – নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে, অলৌকিক জলযান, ঈশ্বরের বাগান, দেবী মহিমা, মানুষের ঘরবাড়ি, জীবন মহিমা, আবাদ, ঝিনুকের নৌকা, দুই ভারতবর্ষ, শেষ দৃশ্য, টুকুনের অসুখ প্রভৃতি।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)
উদয় শঙ্কর ত্রিবেদীর ‘নির্বাচিত গল্প ও প্রবন্ধ সংগ্রহ’ গ্রন্থটি এক কথায় লেখকের মৌলিক প্রচেষ্টার অনন্য নিদর্শন। ২০০৭ সালের পর থেকে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত-অনিয়মিত লিখে চলেছেন তিনি। শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণের পর স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প-প্রবন্ধ ও বিশেষ রচনা গুলিকে বই এর আকারে প্রকাশ করার জন্য ‘কালনা সংস্কৃতি পরিষদ’ বারংবার অনুপ্রাণিত করায় তিনি আমার প্রকাশনী থেকে গ্রন্থ নির্মাণে উদ্যোগী হন। তার লেখাগুলি সহজ-সরল-প্রাণবন্ত। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ব্যক্তি জীবনকে যেমন ভাবে রঙিন করে, আলোকিত করে, যেমন ভাবে নান্দনিকতায় ভরিয়ে দেয় মন – তেমনই সারল্যভরা লেখনিতে তিনি এই গ্রন্থ নির্মাণ করেছেন। এই গ্রন্থে প্রকাশিত বিশেষ রচনাগুলি এক একটি সম্পদ। গ্রন্থটির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
উদয় শঙ্কর ত্রিবেদী -
লেখক শ্রী উদয়শঙ্কর ত্রিবেদীর জন্ম মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুর গ্রামের পাঠক পাড়ায় তাঁর মাতুলালয়ে ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৫৩ সালে। পৈতৃক ভিটা কাঁকুড়িয়া সহজপুর পূর্ব বর্ধমান। এখানেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। শিক্ষা গ্রহণ। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে লেখনীর রসদ জমা হতে থাকে মনের আন্দনিক পরিমণ্ডলে দিন-দিন প্রতিদিন। অনিয়মিত সাহিত্য-চর্চার নানান নিদর্শন ২০০৭ সালের পর স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে নিয়মিত-অনিয়মিত। শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণের পর স্থানীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প-প্রবন্ধগুলিকে বই এর আকার দেওয়ার জন্য কালনা সংস্কৃতি পরিষদের অনুপ্রেরণা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে – এ কথা অনস্বীকার্য্য।
মূল্য : ৭৫ টাকা মাত্র(পঁচাত্তর টাকা মাত্র)
কুড়িটি অনুগল্পের মোড়কে জীবনের অভিজ্ঞতাকে ব্যক্তিক থেকে নৈব্যন্তিক-এ পৌঁছে দেবার প্রয়াস আক্ষরিক অর্থেই দুঃসাহসিক। দুঃসাহসিকতার আনন্দও অপার্থিব। সেই অপার্থিব আনন্দে স্নাত মন পাঠকের মননে লেখনির বিচারের আবেদনে সকল পূর্ণতা খুঁজে পাবে। আশা সেখানেই, ভরসা এখানেই। চলার পথে, জীবিকার পর যখন জীবনের অর্থ খোঁজা শুরু হয় – জীবনকে ঘিরে জীবনের যে কল্লোল ধরা পড়ে, ক্ষুদ্র জীবনে যে মহাজীবনের ইঙ্গিত সুস্পষ্ট হয়, তা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উঠে আসে লেখনিতে। সংশয় এখানে তা কতকটা পারা গেল। স্বস্তি এখানেই – চেষ্টা তো হল।
সুমাল্য দাস
- পেশায় ইংরাজী ভাষার শিক্ষক (এম.এ; বি.এড; ডি.ই.এল.টি) এবং সাংবাদিকতার জন্য জেলায় পরিচিত মুখ। শতাব্দী প্রাচীন ‘পল্লীবাসী’তে সাংবাদিকতায় হাতেঘড়ি বর্তমানে পল্লীবাসী, সাম্প্রতিক, হোত্রী, শিক্ষা ও সাহিত্য, সংঘসাথী, দৈনিক মুক্তবাংলাতে নিয়মিত প্রবন্ধ লেখক। প্রকাশিত হয়েছে লেখকের অনুগল্প সংকলন ‘বৃষ্টি হতে পারে’। তাঁর সম্পাদিত কালনার বিখ্যাত মহিষমর্দ্দিনী পূজার উপর আকরগ্রন্থ ‘মা মহিষমর্দ্দিনী : ধর্মীয় ও লৌকিক ইতিহাস’ লেখকের মৌলিক গবেষণার প্রতি আগ্রহ প্রতিভাত করে। বইটির উচ্চ সাফল্য বর্তমান গ্রন্থের প্রেরণা-প্রবাহ। লেখকের সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে কৃষ্ণকুমার ভদ্রের ‘শেষস্মৃতি’ এবং কবিতা সংকলন ‘দশমিক’, লেখকের সম্পাদনায় প্রকাশিতব্য প্রখ্যাত সাহিত্যিক অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প সংকলন এবং ভবানী প্রসাদ মজুমদারের নির্বাচিত ছড়া সংকলন। লেখ বর্তমানে সহঃসম্পাদক, এডিটরস্র এণ্ড জার্নালিসট গিল্ড, কালনা এবং সহঃ সম্পাদক, কালনা সংস্কৃতি পরিষদ।