বৈষ্ণবধর্মের কালানুক্রমিক ইতিহাস ...সমীর চট্টোপাধ্যায়


বাংলা সাহিত্যের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বৈষ্ণব-সাহিত্য। চৈতন্যযুগ বা চৈতন্য পরবর্তী যুগে গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্ম সাহিত্যের লৌকিকতার আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে সার্বজনীনতার আঙিনায় প্রবেশ করে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বৈষ্ণব ধর্মের এমন পরম্পরা ও ঐতিহ্য থাকা সত্বেও তার কালানুক্রমিক ইতিহাস বাংলা সাহিত্যে আজও বিরল। শ্রী সমীর চট্টোপাধ্যায়ের “বৈষ্ণব ধর্মের কালানুক্রমিক ইতিহাস” গ্রন্থটি চৈতন্য গবেষণায়, ধর্মপিপাসু পাঠকবর্গের তথা জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছে হয়ে উঠবে এক প্রামান্য তথ্য নির্ভর আকর গ্রন্থ। এই গ্রন্থ, এক কথায়, এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে ব্রতী। লেখক বৈষ্ণব ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নানাবিধ কর্মকাণ্ড ও ঘটনাবলীকে কালানুক্রমিক ভাবে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সাবলিল লেখনিতে উদ্ভাসিত করেছেন এই গ্রন্থে। গ্রন্থটির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।


সমীর চট্টোপাধ্যায়
- সাহিত্যসাধক তথা প্রবন্ধকারের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে শ্রীচৈতন্যদেবের সন্ন্যাসভূমি তথা শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দিরের সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে বড় হওয়া। শিক্ষান্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্তবিভাগে (বৈদ্যুতিক শাখা) ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পরে সাহিত্যচর্চা শুরু তবে ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের হস্তমুদ্রিত ম্যাগাজিনে ‘পূর্বাশা’ প্রথম লেখা প্রকাশ পেয়েছিল। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যের সন্ন্যাস গ্রহণের পাঁচশো বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে রচনা প্রকাশিত হয়েছিল তাহা কাটোয়া শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দির থেকে পাঠকসমাজে সমাদৃত হওয়ার সাহিত্যসাধনায় অনুপ্রাণিত হন। ২০০৪ খ্রিঃ হতে স্থানীয় নানা পত্রপত্রিকা যথা ধূলামন্দির, গোপন খবর, অজয়, অধরা, সমাজের সাক্ষী, মুক্ত কলম, ময়ূরাক্ষী, রাধামাধব, শালপিয়াল, তুলসীচন্দন, স্বস্তিকা, জর্গরী, মাতৃশক্তি, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রকাশিত বাঙালী জাগরণ মঞ্চ, খড়গপুর সমাচার ইত্যাদি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথ্যমূলক রচনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ খ্রিঃ কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত বইমেলায় যুগ্মলেখক হিসাবে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ – গৌর গৌরবাড়ী গৌরপাড়া। তার পরে একক ভাবে গ্রন্থ প্রকাশিত হয় – বাংলা সাহিত্যের অঙ্গন হতে (১ম পর্ব), স্মরণে – মননে শ্রীচৈতন্যদেব, অতীতের পৃষ্ঠা থেকে , যত সব পুরাতনী, কুইজ অন শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীচৈতন্য স্মৃতি কথা (১ম পর্ব) এবং মন্দিরময় কলকাতা মহানগরী। ব্যক্তিগত জীবনে নানা দেবমন্দির তথা নানা কৃতিপুরুষদের জন্মস্থান ভ্রমণের নেশা। প্রত্নতাত্ত্বিক ও অতীতের খ্যাতিমান মানুষদের বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে তুলে ধরাই লেখকের একান্ত প্রচেষ্টা। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এই লেখক শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য মহলে সুপরিচিত নাম।
মূল্য : ১৫০ টাকা মাত্র (এক শত পঞ্চাশ টাকা মাত্র)