সুন্দর বনের পদাবলী ....সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য


কর্মজীবনে দীর্ঘদিন সুন্দরবনে কাটিয়েছেন লেখক। তারুণ্যের বর্ণময় সময়ে সুন্দরবনের অবগুণ্ঠনহীন নৈসর্গিক দৃশ্যছটা অবলোকন করেন লেখক। তাঁরই মৌলিক অনুরণন এই গন্থে প্রবলভাবে বিরাজমান। তৎকালিন সুন্দরবনের জীবন, প্রকৃতি, জীবিকা, আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট, মানুষের সহজ-সরল জীবন-ধারা, নদীনালার প্রবহমানতা বন্যপশু, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, সুন্দরী, গড়ান, কেওড়ার জগতে আত্মহারা লেখক আপন লেখনিগুণে তুলে ধরেছেন সুন্দরবনের পদাবলী। সেই নির্জন, সবুজ, নদ-নদী নালার দেশে লেখক তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েচেন প্রবহমান মানুষের আত্মকথা, তাদের পদাবলী, তাদের জীবনগাথা। 
গ্রন্থটি সুখপাঠ্য। অনাড়ম্বর ভাষায় লেখক তার অভিজ্ঞতা চিত্রকল্পের মত থরে-বিথরে সাজিয়ে তুলেছেন দুই মলাটের স্বল্প-দৈর্ঘ্যের পাতায় পাতায়। তাই সুন্দরবনের পদাবলী হয়ে উঠেছে এক জীবনের অখণ্ড দর্শন, মৌলিক তর্পণ। 
গ্রন্থটির সাফল্য কামনা করি।

সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য
জন্ম কালনা শহরে ১৯৩৬ সালে। পিতা বিমলানন্দ আচার্য্য, কালনার প্রথম ভুমিপুত্র কালনাতা হাইকোটের আইনজীবী। ১৯৬০ সালে গ্রামসেবকের সরকারি চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু এবং ১৯৯৪ সালে এক্সটেনসন অফিসার সোশ্যাল এডুকেশন পদ থেকে অবসর পরে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কালনা পৌরসভার উপপৌরপতি এবং ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত D.P.E.P.-তে State Co-Ordinator, Comunity Mobilization হিসাবে কার্য উপলক্ষ্যে সারা পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ। 
সাংবাদিক হিসাবে পাক্ষিক ‘পল্লীচিত্র’ পত্রিকার ১১ বচর সম্পাদনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি ছিলেন ‘বর্ধমান ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব-চর্চাকেন্দ্রে’। বর্তমানে সভাপতি ‘কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্র’ এবং সম্পাদক ‘সিনে সোসাইটি’। ভ্রমণ, ছোটগল্প, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপর একাধিক বই লিখেছেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর সিনে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডয়ার পূর্বাঞ্চলিয় শাখায় প্রথম Life Time Achievement Award
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)