‘যদি হতো অন্যরকম’ কাব্যগ্রন্থটি হবিবুল্লা সেখের এক অনন্যসাধারণ কাব্য গ্রন্থ। গ্রাম বাংলার সরল সাধারণ জীবন, ভাটিয়ালি সুর, মেঠো গান, বাক্যহীন অনুভূতির প্রবাহমান ধারা যা চিরন্তন, যা অবিনশ্বর..... এমনই এক সারল্যময় সুর ধ্বনিত হয় এই কাব্যগ্রন্থে। কবি তার নান্দনিক দৃষ্টির প্রেক্ষাপটে থরে বিথরে সাজিয়ে তুলেছেন তার কবিতাগুলিকে, তাই কবিতাগুলিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাণ। কবিতাগুলির ভাবধারা কিছু ক্ষেত্রে সরলরৈখিক যা এক কথায় সহজবোধ্য। কবি তার কবিতাগুলিকে অনুকরণীয় করে তুলেছেন নিজস্ব লেখনী গুনে। কবিতাগুলির সঙ্গে পাঠকবর্গ নিজেদের সংযোজিত করতে পারবেন অনায়াসে। যে জীবন কোথাও না কোথাও হারিয়ে গেছে তার নিরলস সুর এই কবিতাগুলির মধ্যে ধ্বনিত হচ্ছে।
জন্ম ৫ই এপ্রিল, ১৯৬৬, নদীয়া জেলার নতুন নওপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে। ধুবুলিয়া দেশবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক। কর্ম জবিন শুরু হয় বর্ধমানের ‘নাড়ী শান্তনু ঘোষ মেমোরিয়াল হাই স্কুল’-এ সহকারী শিক্ষক হিসাবে। বর্তমানে তিনি তার গ্রামেই শালিগ্রাম আদর্শ হাই স্কুলে সহ-শিক্ষকের পদে কর্মরত আছেন। ছাত্র জীবন থেকেই কবিতার প্রতি গভীর আকর্ষণ এই গ্রন্থ নির্মাণের অনুপ্রেরণা। পারিবারিক জীবনের দরিদ্রতার মধ্যেও শিক্ষায় এবং সংস্কৃতিতে তার উপস্থিতি স্থানীয় পরিমণ্ডলে আজও সমুজ্জ্বল। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়ে নান্দনিক অনুশীলন করে চলেছিলেন কবি। বর্তমান গ্রন্থে তার কবিতার চলমানতার এক নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়। তার মৌলিক কবিতাগুলি মনে দাগ কাটে। পাঠকবর্গকে শৈশবের স্মৃতি, হারিয়ে যাওয়া জীবনের রোমন্থন যোগায়। কবি নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন। প্রবন্ধ রচনাতেও তার মৌলিক চলাচল অনুভব করা যায়।