ভারতের ইতিহাসে বিস্ময়কর রাজনৈতিক প্রতিভা চাণক্যর উপর একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। ভারতের প্রায় সব ভাষায় চাণক্যর শ্লোক বিরাজমান। বাংলা ভাষায় চাণক্য শ্লোক ব্যবহৃত হয় নীতিশিক্ষা, অর্থনৈতিক সচেতনতা, কূটনৈতিক প্রাজ্ঞতার মূলসূত্র হিসাবে। চাণক্য নীতি কেবল রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ নেই, বরং লোকশিক্ষার, সামাজিকীকরণের বাস্তবতায় যুগোত্তীর্ণ। স্থান-কাল-পাত্র-ব্যক্তি-সমাজভেদে আজও চাণক্য ধ্রুপদী সূত্র।
বর্তমান গ্রন্থ, “চাণক্য শ্লোক সুধামৃত”-এ চাণক্য শ্লোকগুলির দেবনাগরীকে বাংলা ভাষায় অক্ষরে লিপিব্ধ করা হয়েছে সাবলিলভাবে এবং বলা বাহুল্য, সুনিপুণ বয়ানে। এই গ্রন্থে চাণক্য শ্লোকগুলি ভাষায় প্রতিবন্ধকতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার প্রচেষ্টায় ব্রতী হয়েছে।
গ্রন্থটি এক পরিশ্রমসাধ্য সাধনা। বাংলা সাহিত্যে এমন গ্রন্থ বিরল এবং যুগোপযোগী। গ্রন্থটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট যুগের কষ্ঠিপাথরে বিচার্য্য হবে – ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করি।
দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায় – লেখক শ্রী দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম শিল্পনগরী জামশেদপুরে ১৯৪৯ খৃ: এ। জামশেদপুরেই কারিগরি শিক্ষা লাভ করে বার্ণপুরে ইস্পাত-শিল্পে কর্মজীবন শুরু। অবসর গ্রহণের পর অম্বিকা কালনায় আগমন। অনিয়মিত সাহিত্য চর্চা এখানেই নিত্য সাধনায় পরিবর্তিত হয়। ২০১৬ খৃ: প্রকাশিত হয় “চাণক্য নীতির সুধামৃত” গ্রন্থটি। সব পাঠক মহলেই এই গ্রন্থ সমাদৃত হওয়ায় চাণক্যর উপর দ্বিতীয় গ্রন্থ “চাণক্য শ্লোক সুধামৃত” গ্রন্থটি নির্মাণে প্রেরণা লাভ করেন। কথা সাহিত্যিক শ্রী অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চাণক্য নীতির উপর লেখা গ্রন্থগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেন।