অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
- জন্ম-১৩৩৭, ইং ১৯৩১। ঢাকা জেলার রাইনাদি গ্রামে। যৌথ পরিবারে তিন বড় হয়েছেন। সোনারগাঁ পানাম স্কুলের ছাত্র। দেশভাগের পর ছিন্নমূল। এদেশে তিনি তখন নিরুপায় বিধ্বস্ত পরিবারটির একমাত্র অবলম্বন। যখন যে কাজ পেয়েছেন সানন্দের তাই গ্রহণ করেছেন। কখনও ট্রাকক্লিনার, কখনও আলমবাজার জুটমিলের শ্রমিক, অন্নাভাব এবং অর্থাভাবের তাড়নায় শেষে মার্চেন্ট নেভিতে কোলবয়ের কাজ । পরে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক – ১৯৫৬ সালে বি.কম. পাম করেন। বি.টি.ও. পাশ করেন। প্রধান শিক্ষকও ছিলেন একটি সিনিয়র বেসিক স্কুলের। ১৯৬৩ সালে পাকাপাকিভাবে চলে আসেন কলকাতায়। কখনও কারখানার ম্যানেজার, কখনও প্রকাশক সংস্থার উপদেষ্টা শেষে সাংবাদিক। প্রথম গল্প বহরমপুরের ‘অবসর’ পত্রিকায়। সমুদ্রমানুষ লিখে পান, ‘মানিক স্মৃতি পুরস্কার’ ১৯৫৮। ১৯৯১ সালে বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৩ সালে ভূয়ালকা পুরস্কার পান। মতিলাল পুরস্কার, তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুধা পুরস্কারে তিনি সম্মানিত। বঙ্গিম পুরস্কার পান ‘দুই ভারতবর্ষ’ উপন্যাসের জন্য ১৯৯৮ সালে। ‘পঞ্চাশটি গল্প’ সংকলনের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন ২০০১ সালে। শরৎ পুরস্কার পান ২০০৫ সালে।
২০০৮-এ সুরমা চৌধুরী মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ইন লিটারেচার অ্যাণ্ড জার্নালিজম-এ ‘নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে’ উপন্যাসটি সম্মানিত হয়। সম্মানমূল্য দশ লক্ষ টাকা। কথিত হয়ে থাকে উপন্যাসটি এই উপমহাদেশের বিবেক।
তাঁর উল্লেকযোগ্য সৃষ্টি – নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে, অলৌকিক জলযান, ঈশ্বরের বাগান, দেবী মহিমা, মানুষের ঘরবাড়ি, জীবন মহিমা, আবাদ, ঝিনুকের নৌকা, দুই ভারতবর্ষ, শেষ দৃশ্য, টুকুনের অসুখ প্রভৃতি।