নির্বাচিত গল্প সংগ্রহ ...অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়

www.tatobhumiprakashani.in


বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ কথা সাহিত্যিক অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট গল্পগুলি পৃথক ভাবে সংকলনের দাবী রাখে। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট গল্পগুলি মনে করিয়ে দেয় – সাহিত্য সৃষ্টির প্রথম শর্ত হল স্রষ্টার জীবনব্যাপী সন্ধান কিসের জন্য – মৌলিক যদি হয় এবং সেই সন্ধানে মানুষের ইতিহাস যদি লেখা থাকে, তবেই সার্থক সেই সাহিত্যমালা। এখঅনেই অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তী। বিচিত্র-জীবন এবং তার অনুভবে এই গল্পগুলির আছে আলাদা সৌন্দর্য, আলাদা কারুকাজ। গল্পের জন্য তিনিই দ্বিতীয় সাহিত্যিক যিনি বাংলা সাহিত্যে আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত। তাঁর জীবন প্রণালী থেকে জন্মানো শব্দ-ঝর্নার যাবতীয় সৌন্দর্যকে তিনি দক্ষ স্বর্ণকারের মতো গেঁথে দেন যাতে চরিত্রটি জীবন্ত এবং শ্রীহনিতায়ও শ্রীময় হয়ে উঠতে পারে। তাঁর আশ্চর্য গদ্যও এই গল্পগুলিতে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় – গল্পের উপাদানে আছে জীবনের খোঁজ – শুধু জীবন কেন ইতিহাসেরও। মানুষ যখন বেঁচে থাকে, তার জীবন সত্যও বেঁচে থাকে, মানুষ এবং তার জীবন – সত্যের খোঁজে লেখকের এই যাত্রা – এই গল্পগুলিতে সাবলীলভাবেই ধরা পড়েছে। আর তাই এই গল্পগুলি হয়ে উঠেছে বর্ণমালার চালচিত্র নির্মিত এক জীবনেতিহাস।

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
- জন্ম-১৩৩৭, ইং ১৯৩১। ঢাকা জেলার রাইনাদি গ্রামে। যৌথ পরিবারে তিন বড় হয়েছেন। সোনারগাঁ পানাম স্কুলের ছাত্র। দেশভাগের পর ছিন্নমূল। এদেশে তিনি তখন নিরুপায় বিধ্বস্ত পরিবারটির একমাত্র অবলম্বন। যখন যে কাজ পেয়েছেন সানন্দের তাই গ্রহণ করেছেন। কখনও ট্রাকক্লিনার, কখনও আলমবাজার জুটমিলের শ্রমিক, অন্নাভাব এবং অর্থাভাবের তাড়নায় শেষে মার্চেন্ট নেভিতে কোলবয়ের কাজ । পরে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক – ১৯৫৬ সালে বি.কম. পাম করেন। বি.টি.ও. পাশ করেন। প্রধান শিক্ষকও ছিলেন একটি সিনিয়র বেসিক স্কুলের। ১৯৬৩ সালে পাকাপাকিভাবে চলে আসেন কলকাতায়। কখনও কারখানার ম্যানেজার, কখনও প্রকাশক সংস্থার উপদেষ্টা শেষে সাংবাদিক। প্রথম গল্প বহরমপুরের ‘অবসর’ পত্রিকায়। সমুদ্রমানুষ লিখে পান, ‘মানিক স্মৃতি পুরস্কার’ ১৯৫৮। ১৯৯১ সালে বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার, ১৯৯৩ সালে ভূয়ালকা পুরস্কার পান। মতিলাল পুরস্কার, তারাশঙ্কর স্মৃতি পুরস্কার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সুধা পুরস্কারে তিনি সম্মানিত। বঙ্গিম পুরস্কার পান ‘দুই ভারতবর্ষ’ উপন্যাসের জন্য ১৯৯৮ সালে। ‘পঞ্চাশটি গল্প’ সংকলনের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন ২০০১ সালে। শরৎ পুরস্কার পান ২০০৫ সালে।
২০০৮-এ সুরমা চৌধুরী মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ইন লিটারেচার অ্যাণ্ড জার্নালিজম-এ ‘নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে’ উপন্যাসটি সম্মানিত হয়। সম্মানমূল্য দশ লক্ষ টাকা। কথিত হয়ে থাকে উপন্যাসটি এই উপমহাদেশের বিবেক।
তাঁর উল্লেকযোগ্য সৃষ্টি – নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে, অলৌকিক জলযান, ঈশ্বরের বাগান, দেবী মহিমা, মানুষের ঘরবাড়ি, জীবন মহিমা, আবাদ, ঝিনুকের নৌকা, দুই ভারতবর্ষ, শেষ দৃশ্য, টুকুনের অসুখ প্রভৃতি।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)