কার্গিলে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। আমাদের কাছে তা এখন বিস্মৃত প্রায়। সেই বিস্মৃত ইতিহাসের ক্ষুদ্র গ্রন্থনা আমার ‘কার্গিল কথা’-যেখানে বর্ণিত হয়েছে দেশকে ভালোবাসার কথা, দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের কথা। তবে ‘কার্গিল-কথা’ গ্রন্থখানি বাংলা ভাষায় প্রারম্ভিক প্রয়াস বলা যেতে পারে। একজন কর্তব্যরত সৈনিকের দৃষ্টিকোন থেকে, অভিজ্ঞতা থেকে, উপলব্ধি থেকে কার্গিল-যুদ্ধের প্রত্যক্ষতা এই স্বল্প মলাটের গ্রন্থটির মূল সম্পদ। সিয়াচিনের ঠাণ্ডা ঝরণার মত, বয়ে যাওয়া বরফের টুকরোমত জীবনকে হাতে করে জৈবিক সত্ত্বাকে দেশসেবায় নিয়োজিত করে বোধ-বুদ্ধি-মননের অভিজ্ঞতাকে লিপিবদ্ধ করে গ্রন্থ-নির্যাস যা পাওয়া গেল, পাঠকের নান্দনিক রসনা আশাকরি তা পূরণ করতে পারবে।
যদি এই গ্রন্থ পাঠ করে নিঃস্বার্থ দেশসেবার মধ্য দিয়ে জাতি গঠনের কাজে, সমাজের কল্যানে নিজেদের নিযুক্ত করার প্রেরণা সামান্য হলেও পেয়ে থাকেন তবেই আমার এই গ্রন্থ-শ্রম সার্থক।
নরেশ চন্দ্র দাস
– জন্ম কালনা শহরের অদূরে কোয়ালডাঙ্গা গ্রামে ২৬শে অক্টোবর ১৯৬৩ সালে। আশৈশব অভিযানমুখী মনন কর্মজীবনকে করে তুলেছে রোমাঞ্চকর এবং উৎকর্ষতাপূর্ণ। তাই লেখকের উপযুক্ত কর্মজীবন বোধ করি বিধির বিধানে পূর্ব নির্ধারিত হল ভারতীয় সেনা দলে। ১৯৮৩ সালে কর্মজীবনে প্রবেশ এবং ধীরে ধীরে লেখাপড়ার ধাপ শুরু, আর্মি স্নাতক, চণ্ডিগড় থেকে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, রানী দুর্গাবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পণ্যাগার ডিপ্লোমা এবং নিউ দিল্লী থেকে অখিল ভারত সেনা ম্যানেজমেন্টে স্নাতক সদস্যপদ এবং অন্তিম সোপান আর্মির সাবমেজর পদ। কর্মজীবনে নানা বর্ণনা অভিজ্ঞতা বিকেন্দ্রীভূত করার আন্তরিক তাগিদ অনুভবে লেখনিকে অবলম্বন করে গ্রন্থ নির্মানে ব্রতী হয়েছেন। একাধিক পদ এবং কঠিন থেকে কঠিনতম নানাবিধ আর্মি ট্রেনিং এর মধ্য দিয়ে আজও তিনি সারল্যময়, প্রাণবন্ত এবং কর্ম ও কর্তব্য হিমালয়ের মত স্থির, দৃঢ় এবং মৌনমুখর।
মূল্য : ৫০ টাকা মাত্র (পঞ্চাশ টাকা মাত্র)