শ্রীচৈতন্য স্মৃতিকথা ...শ্রী সমীর চট্টোপাধ্যায়


কাটোয়ার প্রাচীন অধিবাসী, লেখক শ্রীসমীর চট্টোপাধ্যায় শ্রীচৈতন্য-জীবন ও সাহিত্য গবেষণায় ব্রতী হয়ে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের ঐতিহাসিক আবির্ভাব এবং সেই সঙ্গে তার ৫০০ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে নানা পত্র-পত্রিকায় বিগত শত বর্ষ ধরে যেসব প্রবন্ধ, চিঠি, আলোচনা, সমালোচনা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে তার একত্রিত করে একটি পূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তটভূমি প্রকাশনীর পক্ষ থেকে তা সাদরে গ্রহণ করি। আমার মনে হয়েছে এই গ্রন্থের ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতা হয়েছে। ঐতিহাসিক পেক্ষাপটি শ্রীচৈতন্যদেবের নানাবিধ ভূমিকা এই গ্রন্থের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সমাজ সংস্কারের ভূমিকায়, ধর্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সমাজকে মধ্য যুগের অন্ধকার থেকে আলোকে নিয়ে আসার ভূমিকায়, কুসংস্কার বর্জন করার ভূমিকায়, নাম সংকীর্তন প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাজের উঁচু নীচু সকলকে এক সারিতে নিয়ে আসার ভূমিকায়, বিধর্মীদের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধের ভূমিকায়, শিক্ষাবিস্তারে, সাহিত্যে, সর্বত্রই তিনি উপস্থিত ছিলেন। আমরা িএ সমস্ত ভুলে গিয়ে তার আদর্শের ধারাকে অবশ্য পালনীয় না করে শুধু দেবতা জ্ঞানে নৈবিদ্য নিবেদন করে পূজা করে চলেছি। এই গ্রন্থ আমাদের নতুন ভাবনায়, নতুন আলোকে চৈতন্যময় করে তুলবে।
শ্রীচৈতন্য স্মৃতিকথা (প্রথম পর্ব) ১৪১৬ বঙ্গাব্দে ১লা মাঘ প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হওয়ার পর যে লেখাগুলিকে প্রকত্রিতকরণের প্রাসিকতায় উজ্জ্বল, সেই লেখাগুলিকেও এই গ্রন্থে আনা সম্ভব হয়েছে। এই গ্রন্থে কালনা নিবাসী শ্রীচৈতন্য অনুরাগী শ্রীচৈতন্যের নানা লীলা ও লীলাস্থান গুলি নিয়ে পদাকারে রচনা গুলিকে সংযোজিত করা হয়েছে।

সমীর চট্টোপাধ্যায়
- সাহিত্যসাধক তথা প্রবন্ধকারের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে শ্রীচৈতন্যদেবের সন্ন্যাসভূমি তথা শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দিরের সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে বড় হওয়া। শিক্ষান্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্তবিভাগে (বৈদ্যুতিক শাখা) ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পরে সাহিত্যচর্চা শুরু তবে ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের হস্তমুদ্রিত ম্যাগাজিনে ‘পূর্বাশা’ প্রথম লেখা প্রকাশ পেয়েছিল। ২০০৪ খ্রিঃ হতে স্থানীয় নানা পত্রপত্রিকা যথা ধূলামন্দির, গোপন খবর, অজয়, অধরা, সমাজের সাক্ষী, মুক্ত কলম, ময়ূরাক্ষী, রাধামাধব, শালপিয়াল, তুলসীচন্দন, স্বস্তিকা, জর্গরী, মাতৃশক্তি, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রকাশিত বাঙালী জাগরণ মঞ্চ, খড়গপুর সমাচার ইত্যাদি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথ্যমূলক রচনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ খ্রিঃ কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত বইমেলায় যুগ্মলেখক হিসাবে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ – গৌর গৌরবাড়ী গৌরপাড়া। তার পরে একক ভাবে গ্রন্থ প্রকাশিত হয় – বাংলা সাহিত্যের অঙ্গন হতে (১ম পর্ব), স্মরণে – মননে শ্রীচৈতন্যদেব, অতীতের পৃষ্ঠা থেকে , যত সব পুরাতনী, কুইজ অন শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীচৈতন্য স্মৃতি কথা (১ম পর্ব) এবং মন্দিরময় কলকাতা মহানগরী। ব্যক্তিগত জীবনে নানা দেবমন্দির তথা নানা কৃতিপুরুষদের জন্মস্থান ভ্রমণের নেশা। প্রত্নতাত্ত্বিক ও অতীতের খ্যাতিমান মানুষদের বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে তুলে ধরাই লেখকের একান্ত প্রচেষ্টা। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এই লেখক জেলার শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য মহলে সুপরিচিত নাম।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)