ভগবান দর্শন ...রাধাগোবিন্দ সাহা


“ভগবান-দর্শন” গ্রন্থটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ঈশ্বর-চিন্তা এবং তা আপন দৃষ্টিকোণ তেকে প্রকাশ করা। সেই অর্থে গ্রন্থটি মৌলিক। লেখক এখানে ঈশ্বর সম্পর্কে যা বোঝেন তা অবলীলায় লিখে গেছেন। লেখনির নিজস্ব কিছু গুন থাকে। প্রকাশভঙ্গি, শব্দচয়ন, ভাষা-মাধুর্য্য, চিন্তার বিন্যাস ও তার প্রকাশ ইত্যাদি ইত্যাদি। লেখক যেহেতু প্রথাগত বা প্রচলিত শিক্ষার সুযোগ পাননি এবং ৯৩ বছর বয়সে কলম ধরেছেন - সেই কারণে লেখনিতে নানাবিধ অসঙ্গতি রয়েছে - প্রকাশনীর সম্পাদক হিসাবে এই গ্রহন্থ প্রকাশের নৈতিক কারণ হিসাবে বলা যায় - এই গ্রন্থ এক অশীতিপর বৃদ্ধের শেষ জীবনাকুতি, তার ঈশ্বর ভাবনাকে শব্দের মোড়কে তুলে ধরাই এখন তার বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ। পাঠকবর্গকে সনিবন্ধ অনুরোধ গ্রন্থের ক্রটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করে ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধের ক্ষয়িষ্ণু কণ্ঠে জাগ্রত ভগাবন-দর্শনটুকু সদ্চিত্তে গ্রহণ করুন। হয়ত ছত্রে ছত্রে মিলবে তাঁর অমৃতবাণী। এককথায় ‘ভগবান দর্শন’ গ্রন্থটি এক উপলব্ধ দর্শন, গভীর মননশীল চিন্তনের লেখ্যরূপ।

রাধাগোবিন্দ সাহা
বয়স ৯৩। শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রাথমিকের গণ্ডি অনুত্তীর্ণ। ব্যক্তিগত অক্ষমতা এর জন্য দায় নয়; দায়ী তীব্রতর দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই আর জীবনসংগ্রামে প্রথাগত শিক্ষা ব্যতিরেকে সাফল্য অর্জনের প্রচেষ্টা এবং বলাবাহুল্য সাফল্য লাভ করা। জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমার পেয়ারপুর গ্রামে। পিতা মাকনলাল সাহা ও মাতা ললিতা সাহা। ব্যবসায়িক জীবনের অপরাহ্নে ঈশ্বর চিন্তার মধ্য দিয়ে ভারত আত্মার যে চেতনাপ্রবাহ তা অনুধাবণ করার মধ্য দিয়েই এই গ্রন্থের প্রয়াস ও প্রেরণা লাভ। অশীতিপর কলমের টানে ভগবান-অনুভূতি নিজের আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন লেখক এই গ্রন্থে। না কোনো ঈশ্বরতত্ত্ব এখানে নেই। কোনো বিশেষ ধর্মের আলঙ্কারিক বা প্রায়োগিক ব্যাখ্যাও বিরল এই গ্রন্থে। একানে রয়েছে ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধের আপন ভাবনার উদ্ভাবিত ঈশ্বর চিন্তা। সেই চিন্তায় তাঁর চিত্তে নির্মিত হয় এক চিন্ময়ী ভগবান-দর্শন, ভগবান-আলেখ্য। লেখক ওই দর্শন আলোকিত করেছেন আপন লেখনী দক্ষতায় এই গ্রন্থে। ভাষার প্রাচুর্য্য এখানে বিরল, ভাবনার সুগঠিত বিন্যাসও এখানে নেই, কিন্তু এখানে যা আছে তা সাহিত্য সৃষ্টির মূলসুর যা লেখনীর ছত্রে ছত্রে ধরা পড়ে - "Look in the heart and write", এককথায় উচ্চতর দার্শনিক ভাবনায় উদ্ভাসিত এই গ্রন্থ।

মূল্য : ১০০ টাকা মাত্র(একশত টাকা মাত্র)