কালনা চরিতনামা ...ড. কমলেশ ভট্টাচার্য

ড. কমলেশ ভট্টাচর্য বিরচিত “কালনা চরিতনামা” কালনার মনীষীদের কর্মজীবন, সামাজিক জীবন, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সর্বোপরি কালনা মহকুমার ঐতিহাসিক খণ্ডচিত্র সুলেখনির বন্ধনে সুপ্রস্থিত। এই গ্রন্থে কেবল কতিপয় মহাজীবনের গুণকীর্তন করা হয় নি; লেখক তুলে ধরেচেন তৎকালিন সমাজ জীবন, রাজনৈতিক কর্মগ্রবাহ, সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল-এককথায় গ্রন্থটি গবেষণামূলক আঞ্চলিক ইতিহাস এবং প্রামাণ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ জীবন্ত দলিল। 
আঞ্চলিক অথবা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস নির্মাণে ব্যক্তির ভুমিকা অনস্বীকার্য। ব্যক্তিই তার কর্ম-মাহাত্ম্যে গড়ে তোরৈন ইতহাস বা নিজেই হয়ে ওঠেন পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। “কালনা চরিতনামা” এমনই এক বিরল গ্রন্থ যা ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের প্রবাহধারায় বৃহত্তর জনজীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। আলোচনার পাশাপাশি তাদের কর্মজীবন, সাংস্কৃতিক জীবনকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে। 
লেখকের কলমে দুই মলাটে এক বৃহত্তর জীবনেতিহাস সরবে-নিরবে অক্ষরে অক্ষরে প্রবাহমান।


ড. কমলেশ ভট্টাচার্য
হুগলী জেলার গুপ্তিপাড়ার বঙ্গদেশখ্যাত পণ্ডিত চট্টশোভাকার বংশে জন্মগ্রহন করেন। বংশধিপতি ছিলেন বঙ্গদেশধিপতি মহারাজ লক্ষ্মণ সেনের সভাপণ্ডিত পণ্ডিতকূলচূড়ামণি হলায়ুধ দেবশর্ম্মণ। পিতা সাহিত্যরত্ন নৃসিংহপ্রসাদ ভট্টাচার্য ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও পণ্ডিত ব্যক্তি। মাতা বিভারানী দেবী। গুপ্তিপাড়া হাৈইস্কুল থেকে বিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করে কালনা কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ স্মাতক হন। এরপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উক্ত বিষয়ে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৮৩ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে পিিএইচ.ডি. প্রাপ্ত হন। গবেষণার বিষয় ছিল ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার আদিপর্ব’(অক্ষয় দত্ত যুগ)। বিদ্যালয় ছাত্রদের উপযোগী ‘ভাষাবোধ ও রচনা প্রবেশ’ গ্রন্থের প্রণেতা। নৃসিংঞপ্রসাদ ভট্টাচার্যকৃত ‍পুস্তক‘বঙ্গসংস্কৃতির একপর্ব’ ও ‘গুপ্তিপাড়া মঠকাহিনী ও বঙ্গের প্রথম বারোয়ারী’ গ্রন্থদুটি নিপুন হাতে সম্পাদনা করেন। কালনা মহকুমার বিশিষ্ট ব্রক্তিদের নিয়ে ‘স্মনীয় জীবন” (১ম খণ্ড) নামে একটি পুস্তকের প্রণেতা। এছাড়াও স্কুলপাঠ্য বিভিন্ন গ্রন্থের রচয়িতা। বিভিন্ন মননশীল, বিষয়গৌরবী প্রবন্ধ ও ছোটগল্পকার হিসাবে মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন। 
কর্মজীবন : বহু উচ্চপদ ও সংস্থায় চাকুরী পাওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক বাধ্যবাধকতায় তা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে বর্ধমান জেলার কালনা অম্বিকা মহিষমদ্দির্নী উচ্চ বিদ্যালয়ে (উচ্চমাধ্যমিক) শিক্ষকতার চাকুরী গ্রহণ করেন। পরে ওিই বিদ্যালয়েই সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ওই পদে থেকেই অবসরগ্রহণ করেন।
মূল্য : ৩০০ টাকা মাত্র (তিন শত টাকা মাত্র)