‘সিদ্ধেশ্বর রচনা সমগ্র’ গ্রন্থটিতে লেখক তার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলিকে নির্বাচিত ও একত্রিত করে, সংগৃহীত করেছেন দুই মলাটের এই স্বল্প পরিসরে। গ্রন্থটির মননে এবং কলেবরে রয়েছে কালনার ওপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ প্রবন্ধ যা আঞ্চলিক ইতিহাস রচনায়, মৌলিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কালনার পাশাপাশি ‘সুকান্ত ভট্টাচাযের রাজনৈতিক চিন্তা’, ‘চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রনাথ’ এবং ‘চলচ্চিত্রে কালনার মানুষ’ সবোপরি ‘ভারত বিখ্যাত পণ্ডিত তারানাথ তর্ক বাচস্পতি’ প্রবন্ধগুলি আরো গবেষণার দাবি রাখে। ভাবী প্রজন্ম এই গ্রন্থ থেকে অনেক গবেষণার রসদ পাবে। গ্রন্থটি সুখপাঠ্য। সরল, অনাবিলও সাবলীল ভাষায় গ্রন্থটি লিখিত হয়েছে। ইতিহাস সমৃদ্ধ তথ্য ও ভাষা শৈলীর জন্যই গ্রন্থটি অচিরেই পাঠক মহলে দ্রুত পরিচিতি ও স্বীকৃতি পাবে একথা বলাই বাহুল্য। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে লেখক যে সাংস্কৃতিক কর্মসাধনা চালিয়েছেন তারই নির্যাস রয়েছে এই গ্রন্থটিতে।  

সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য
জন্ম কালনা শহরে ১৯৩৬ সালে। পিতা বিমলানন্দ আচার্য্য, কালনার প্রথম ভুমিপুত্র কালনাতা হাইকোটের আইনজীবী। ১৯৬০ সালে গ্রামসেবকের সরকারি চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু এবং ১৯৯৪ সালে এক্সটেনসন অফিসার সোশ্যাল এডুকেশন পদ থেকে অবসর পরে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কালনা পৌরসভার উপপৌরপতি এবং ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত D.P.E.P.-তে State Co-Ordinator, Comunity Mobilization হিসাবে কার্য উপলক্ষ্যে সারা পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ। 
সাংবাদিক হিসাবে পাক্ষিক ‘পল্লীচিত্র’ পত্রিকার ১১ বচর সম্পাদনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি ছিলেন ‘বর্ধমান ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব-চর্চাকেন্দ্রে’। বর্তমানে সভাপতি ‘কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্র’ এবং সম্পাদক ‘সিনে সোসাইটি’। ভ্রমণ, ছোটগল্প, আঞ্চলিক ইতিহাসের উপর একাধিক বই লিখেছেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর সিনে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডয়ার পূর্বাঞ্চলিয় শাখায় প্রথম Life Time Achievement Award
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)
Kargil War - Naresh Chandra Das

"The Memoirs of Kargil War in 1999" by Sub. Major Shri Naresh Chandra Das is a first-hand experience or saga of life of Army people in Warfront in general and here specially in Kargil. this book highlights the bravery of our national heroes. It is about the unsung, practical tale of the untold stories of unknown, forgotten national heroes in our armed forces who ventured their life to protect our motherland, sacrificing their personal happiness, conjugal life, social life, family life with a determined will to protect us and our motherland. This book has a narrative of the geographical difficulties in Kargil sector, the weapons used, the sacrifices of our martyrs in Kargil warfront. The mentation or psychological inflow of a soldier who is exposed to all sorts of evil forces coming from beyondour border in a straight forward manner and in lucid language is the true gift to readers. This book will inspire several generations to come and will upfold patriotism in every Indian.


SUB MAJOR SHRI NARESH CHANDRA DAS
Shri Naresh Chandra Das
- Sub Major Shri Naresh Chandra Das in his present book has highlighted the undaunted bravery of Indian soldiers in Kargil war front. He himself being a part of the army in 1999 Kargil War has gone through the toughest experiences during the war. Shri Naresh Chandra Das by avocation is a philanthropist, now engaged after his retirement in several social welfare activities like thalassemia organisation, Blood donation camp organisation. He is a front runner for providing help and support to the under privileged people. Born at Koaldanga in Ambika Kalna, Purba Bardhaman on 26th October 1963 Shri Naresh Chandra Das since his birth was adventurous. In 1983 he entered in the profession of a soldier but to him Indian army is an altar for sacrifice. He passed post graduation diploma from Chandigarh Rani Durgavati University and became all India National Army Management graduate from New Delhi. He retire as a sub major from Indian army. He took part in Kargil war in 1999 and this book is his first hand experiences in that war front.
Price : 200.00 (Two hundred Only)



MANDIRMOI KOLKATA

শ্রী সমীর চট্টোপাধ্যায় তার “মন্দিরময় কলকাতা” গ্রন্থটিতে কলকাতা মহানগরীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন মঠ মন্দির গুলিকে ঐতিহাসিক আলোয়, দুই মলাটের পরিসরে সুনিপুণ লেখনীর গুনে তুলে ধরেছেন। গ্রন্থটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, লেখক পরিচিত মঠ মন্দিরগুলিকে জনসমক্ষে না এন, যা মানুষ বা পাঠকের কাছে স্বল্প পরিচিত সেই মঠ, মন্দিরগুলোকে, ঐতিহাসিক তথ্যসহ তুলে ধরেছেন এই গ্রন্থে। “মন্দিরময় কলকাতা” গ্রন্থটি পাঠকবর্গকে কলকাতার অলিতে-গলিতে তাকা ঐতিহাসিক মঠ, মন্দিরগুলিকে নতুন করে চেনাবে এবং প্রত্যেকটি মন্দিরের ঠিকানা সহ তার অতীত সুনিপুণভাবে লেখক তুলে ধরেছেন। সমগ্য গ্রন্থ জুড়ে রয়েছে এক বিপুল তথ্য-সম্পদ যা ভাবী প্রজন্মকে গবেষণায় প্রবুদ্ধ করতে পারে।


সমীর চট্টোপাধ্যায়
- সাহিত্যসাধক তথা প্রবন্ধকারের জন্ম ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে, বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে শ্রীচৈতন্যদেবের সন্ন্যাসভূমি তথা শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দিরের সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে বড় হওয়া। শিক্ষান্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্তবিভাগে (বৈদ্যুতিক শাখা) ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পরে সাহিত্যচর্চা শুরু তবে ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের হস্তমুদ্রিত ম্যাগাজিনে ‘পূর্বাশা’ প্রথম লেখা প্রকাশ পেয়েছিল। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যের সন্ন্যাস গ্রহণের পাঁচশো বৎসর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে রচনা প্রকাশিত হয়েছিল তাহা কাটোয়া শ্রীগৌরাঙ্গ মন্দির থেকে পাঠকসমাজে সমাদৃত হওয়ার সাহিত্যসাধনায় অনুপ্রাণিত হন। ২০০৪ খ্রিঃ হতে স্থানীয় নানা পত্রপত্রিকা যথা ধূলামন্দির, গোপন খবর, অজয়, অধরা, সমাজের সাক্ষী, মুক্ত কলম, ময়ূরাক্ষী, রাধামাধব, শালপিয়াল, তুলসীচন্দন, স্বস্তিকা, জর্গরী, মাতৃশক্তি, ঝাড়খণ্ড থেকে প্রকাশিত বাঙালী জাগরণ মঞ্চ, খড়গপুর সমাচার ইত্যাদি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তথ্যমূলক রচনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ খ্রিঃ কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত বইমেলায় যুগ্মলেখক হিসাবে প্রথম গ্রন্থ প্রকাশ – গৌর গৌরবাড়ী গৌরপাড়া। তার পরে একক ভাবে গ্রন্থ প্রকাশিত হয় – বাংলা সাহিত্যের অঙ্গন হতে (১ম পর্ব), স্মরণে – মননে শ্রীচৈতন্যদেব, অতীতের পৃষ্ঠা থেকে , যত সব পুরাতনী, কুইজ অন শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীচৈতন্য স্মৃতি কথা (১ম পর্ব) এবং মন্দিরময় কলকাতা মহানগরী। ব্যক্তিগত জীবনে নানা দেবমন্দির তথা নানা কৃতিপুরুষদের জন্মস্থান ভ্রমণের নেশা। প্রত্নতাত্ত্বিক ও অতীতের খ্যাতিমান মানুষদের বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে তুলে ধরাই লেখকের একান্ত প্রচেষ্টা। ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এই লেখক শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য মহলে সুপরিচিত নাম।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)





‘যদি হতো অন্যরকম’ কাব্যগ্রন্থটি হবিবুল্লা সেখের এক অনন্যসাধারণ কাব্য গ্রন্থ। গ্রাম বাংলার সরল সাধারণ জীবন, ভাটিয়ালি সুর, মেঠো গান, বাক্যহীন অনুভূতির প্রবাহমান ধারা যা চিরন্তন, যা অবিনশ্বর..... এমনই এক সারল্যময় সুর ধ্বনিত হয় এই কাব্যগ্রন্থে। কবি তার নান্দনিক দৃষ্টির প্রেক্ষাপটে থরে বিথরে সাজিয়ে তুলেছেন তার কবিতাগুলিকে, তাই কবিতাগুলিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রাণ। কবিতাগুলির ভাবধারা কিছু ক্ষেত্রে সরলরৈখিক যা এক কথায় সহজবোধ্য। কবি তার কবিতাগুলিকে অনুকরণীয় করে তুলেছেন নিজস্ব লেখনী গুনে। কবিতাগুলির সঙ্গে পাঠকবর্গ নিজেদের সংযোজিত করতে পারবেন অনায়াসে। যে জীবন কোথাও না কোথাও হারিয়ে গেছে তার নিরলস সুর এই কবিতাগুলির মধ্যে ধ্বনিত হচ্ছে।

Habibulla Sk

হবিবুল্লা সেখ
জন্ম ৫ই এপ্রিল, ১৯৬৬, নদীয়া জেলার নতুন নওপাড়া গ্রামের মাতুলালয়ে। ধুবুলিয়া দেশবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক। কর্ম জবিন শুরু হয় বর্ধমানের ‘নাড়ী শান্তনু ঘোষ মেমোরিয়াল হাই স্কুল’-এ সহকারী শিক্ষক হিসাবে। বর্তমানে তিনি তার গ্রামেই শালিগ্রাম আদর্শ হাই স্কুলে সহ-শিক্ষকের পদে কর্মরত আছেন। ছাত্র জীবন থেকেই কবিতার প্রতি গভীর আকর্ষণ এই গ্রন্থ নির্মাণের অনুপ্রেরণা। পারিবারিক জীবনের দরিদ্রতার মধ্যেও শিক্ষায় এবং সংস্কৃতিতে তার উপস্থিতি স্থানীয় পরিমণ্ডলে আজও সমুজ্জ্বল। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়ে নান্দনিক অনুশীলন করে চলেছিলেন কবি। বর্তমান গ্রন্থে তার কবিতার চলমানতার এক নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়। তার মৌলিক কবিতাগুলি মনে দাগ কাটে। পাঠকবর্গকে শৈশবের স্মৃতি, হারিয়ে যাওয়া জীবনের রোমন্থন যোগায়। কবি নিয়মিত সাহিত্য চর্চা করে চলেছেন। প্রবন্ধ রচনাতেও তার মৌলিক চলাচল অনুভব করা যায়।
মূল্য : ২৫০ টাকা মাত্র (দুই শত পঞ্চাশ টাকা মাত্র)


জীবনের নানান সন্ধিক্ষণে অনুভূত অভিজ্ঞতার নির্যাস লেখকের গল্পগুলি। গল্পগুলি লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার রোমস্থন ও নির্যাস। ‘নিজস্বী’ ও ‘চিন্তা’ পত্রিকায় বিভিন্ন সময় প্রকাশিত এই গুল্পগুলি পাঠকবর্গের স্বনিবন্ধ অনুরোধে দুই মলাটের স্বল্প পরিসরে প্রকাশ করার মানসিক ইচ্ছা স্ফুলিঙ্গের আকারে সম্প্রসারিত হয় লেখকের পুত্রের অনুরোধে। অবশেষে জীবনের নানান সময়ে লেখা গল্পগুলিকে সংকলিত করতে পারায় লেখকের বহুদিনের স্বপ্নপূরণ সম্ভবপর হল। যার অনুপ্রেরণায় এই গল্প লিখন তিনি লেখকের সহধর্মিনী অপরাজিতা চক্রবর্তী। যে জীবন হারিয়ে গেছে, যে জীবন আর কখনো ফিরবে না, সেই প্রবাহমান হারিয়ে যাওয়া জীবনের নানা খন্ড চিত্রই এই গ্রন্থে ধরা পড়েছে। একদিকে পাঠকবর্গের সনিবন্ধ অনুরোধ, অন্যদিকে এই গভীর জীবনবোধ ও তার তাগিদ, আরেকদিকে অপত্য অনুপ্রেরণা এই সমিলিত প্রচেষ্টাই এই গ্রন্থ প্রকাশের অঙ্গীকার।

শুভাশিস চক্রবর্তী
- কবি শুভাশিস চক্রবর্তীর জন্ম কালনা মহকুমার অন্তর্গত রামেশ্বরপুর গ্রামে। ১৯৫৬ সালের ৫ই জানুয়ারী। গ্রামীণ আবহাওয়ায়, সারল্যময় শ্যামলিমায় কবিসত্ত্বার সজীব চারা এখন স্বাভাবিক উদ্ভিদের ন্যায় – ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে।’ বেহুলা নদী, বাঁশ বন, দিগন্ত বিস্তত ধানখেত, পুকুর পাড়, এঁদো ডোবা, পাখপাখালি, গাছগাছালি সহ এক প্রকাণ্ড গ্রামীণ জীবন ও মানবতা তাঁর কবিত্বের আবাহনী শক্তি।
শুভাশিস চক্রবর্তী সঙ্গীত জগতের এক উল্লেখযোগ্য নাম। সঙ্গীত সাধনায় নিজের প্রতি সুবিচার করলেও লেখনি প্রতিভার প্রতি দীর্ঘ অবিচারের ইতি ঘটল এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
আধুনিক কবিতা লেখায় প্রেরণা সহোদর দেবাশিস চক্রবর্তীর কাছে। গল্প লেখার প্রেরণা সহধর্মিনী অপরাজিতা চক্রবর্তী ও পুত্র দেবায়ন চক্রবর্তীর কাছ থেকে। তাঁদের ঐকান্তিক অনুপ্রেরণায় এই গ্রন্থ প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। নিজ লেখনির প্রতি সুবিচার সম্ভবত করা হল এই গ্রন্থ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। গ্রন্থের মধ্যে থরে-বিথরে শব্দের মোড়কে সজীব হয়ে আছে এক জীবনালেখ্য, এক পরম্পরা, এক প্রবাহমান ঐতিহ্য।
মূল্য : ২২৫ টাকা মাত্র (দুইশত পচিশ টাকা মাত্র)



কবি উদয় কুমার সাহা, তাঁর বর্তমান কাব্যগ্রন্থ ‘বালুকা বেলায়’ তাঁর দীর্ঘ জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতার নির্যাস নান্দনিকতার আবর্তে প্রতিচ্ছবির মত তুলে ধরেছেন কবিতার মোড়কে। কবিতা নির্মাণ ও সৃষ্টির নানাবিধ পরীক্ষণ ও নিরীক্ষণ েএই কাব্যগ্রন্ধে বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। কবি তাঁর বলিষ্ঠ লিখণিগুনে বারেবারে প্রতিভাত করেছেন তার কাব্যের প্রতি, জীবনের প্রতি, সৃষ্টি সুখের প্রতি বিশেষ অনুরাগ। কবিতা কোথাও সরল জীবনের মতো সরল, আবার কোথাও অভিজ্ঞতার নির্যাসে সম্পৃক্ত, অসরলরৈখিক। জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, ঘাত প্রতিঘাত মনকে যেভাবে আন্দেলিত করে তারই প্রতীকী প্রকাশ কবিতার মোড়কে সঞ্চারিত হয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। কবিতাগুলির শব্দ চয়নে ও নামকরণে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কোথাও কোথাও দার্শনিকতার আভাস ঝংকৃত হয়েছে কবিতার বিভিন্ন অঙ্গে। গ্রন্থটি এককথায় সুখপাঠ্য। কবি বারবার কবিতার আঙ্গিকে ধরতে চেয়েছেন সীমার মাঝে অসীম, বিন্দুর মধ্যে সিন্দু, জীবনের মধ্যে মহাজীবনকে। ‘বালুকা বেলায়’ কাব্যগ্রন্থ সেই প্রচেষ্টার নীরব সাক্ষী।

উদয় কুমার সাহা
কবি উদয় কুমার সাহা (দেব কুমার) ভারতের বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার মাধবপুর গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শম্ভুনাথ সাহা, মাতা সরস্বতী সাহা। মা বাবার প্রথম সন্তান। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পেশাগত জীবন কাটিয়েছেন ঝাড়খন্ড, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। লোহা লক্কর, ইঞ্জিন এরূপ যন্ত্রদানবদের নিয়ে কর্মজীবন অতিবাহিত করে অবসর জীবনে সাহিত্য সভায় রুচিশীল গুণীদের সান্নিধ্য লাভ এবং তাঁদের সাথে পরিচিত হয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। ভালোবাসেন পরিবার ও প্রাণখোলা হৃদয়বান মানুষদের। স্ত্রী কবি সন্ধ্যা সাহার সাথে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে কবি সাহিত্যিকদের উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় লিখছেন। সাহিত্যের টানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় কবি সাহিত্যিকদের সাথে মিশেছেন, দেখেছেন অনেক দর্শনয়ি স্থান। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কবি সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। তার রচিত কবিতা ও প্রবন্ধগুলি মা মাটি ও মানুষদের নিয়ে সহজ সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় তার রচিত কবিতা, প্রবন্ধ প্রকাশ হচ্ছে। মানিক মজুমদার জীবনী সংকলন ‘প্রীতিডোরে বাঁধা’ গ্রন্থের সম্পদক মণ্ডলীর সদস্য। তিন কন্যা সন্তানের জনক। অবসরে এখন নিরলস সাহিত্য চর্চায় ব্রত করেছেন। 
বর্তমান কাব্যগ্রন্থ ‘বালুকা বেলায়’ কবি উদয় কুমার সাহা তার জীবনের নানাবিধ অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, অনুরণন ছবির মত তুলে ধরেছেন লেখনীর টানে টানে। কবিতাগুলি হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞাতর নির্যাসে সম্পৃক্ত, সমৃদ্ধ। জীবন সায়াহ্নে কবির কলমে ফুটে উঠেছে জীবনের নানাবিধ চলচ্ছবি - তােই গ্রন্থটি পাঠকদের কাছে হয়ে উঠবে - এক অনুপ্রাণিত ফসল, জীবনের নির্যাস, বেঁচে থাকার আনন্দ ।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুই শত টাকা মাত্র)


শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ উপন্যাসকে সাঁওতালি ভাষায় প্রাণোজ্জ্বল ভাবে, সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন অনুবাদক রবিলাল টুডু এবং নশেচন্দ্র দাস। গ্রন্থটির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলা ভাষার সম্পদ অনুবাদের মোড়কে শিক্ষিত সাঁওতালি সমাজের কাছে আপন আঙ্গিকে পৌছে যাচ্ছে - এ এক বিরল ঘটনা এবং এর সাহিত্যমূল্যও অপরিসীম। গ্রন্থটির সাফল্য এখানেই। ‘পরিণীতা’ উপন্যাসটিকে অনুবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ভাবানুবাদের পথ ধরে লেখকদ্বয় তাদের লেখনির প্রতি সুবিচার করেছেন। সাধারণ পাঠক এক পূর্ণাঙ্গ পঠনেই পেয়ে যাবেন মনের ধ্রূপদী খোরাক। একথা বলাই বাহুল্য, সাঁওতালি সম্প্রদায়ের বহু ছেলে-মেয়ে শিক্ষিত ও সুশিক্ষিত হয়ে উঠছেন। দ্রুত শিক্ষর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের মধ্যে। বাংলা ভাষার ধ্রুপদী রসদ অনুবাদ বা ভাবানুবাদের মোড়কে পৌঁছে যাচ্ছে শিক্ষিত সাঁওতালি ভাই বোনেদের কাছে - যা অনুণ্ঠ প্রশংসার দাবি রাখে।

রবিলাল টুডু
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত নোয়াড়া গ্রামে জন্ম। সাহিত্য একাডেমি ২০১৫ পুরস্কার প্রাপ্ত লেখক শ্রী রবিলাল টুডু। ১৯৭৩ সালে কালনা কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর A.G. Bengal -এ LDC পদে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে অফিসার হিসাবেই কর্মজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখি - এতিমধ্যে খ্যাতির শীষর্ে পৌঁছেছে ‘বীর বীরসা’, ‘সমাজ রঈরা’ ইত্যাদি। আকাশ বাণী কলকাতায় প্রাত্যহিক সাঁওতালী অনুষ্ঠান ১৭৭৫ সাল থেকে পরিচালনা করেন শ্রী রবিলাল টুডু।



নরেশ চন্দ্র দাস
জন্ম কালনা শহরের অদূরে কোয়ালডাঙ্গা গ্রামে ২৬শে অক্টোবর ১৯৬৩ সালে। আশৈশব অভিযানমুখী মনন কর্মজীবনকে করে তুলেছে রোমাঞ্চকর এবং উৎকর্ষতাপূর্ণ। তাই লেখকের উপযুক্ত কর্মজীবন বোধ করি বিধির বিধানে পূর্ব নির্ধারিত হল ভারতীয় সেনা দলে। ১৯৮৩ সালে কর্মজীবনে প্রবেশ এবং ধীরে ধীরে লেখাপড়ার ধাপ শুরু, আর্মি স্নাতক, চণ্ডিগড় থেকে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা, রানী দুর্গাবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পণ্যাগার ডিপ্লোমা এবং নিউ দিল্লী থেকে অখিল ভারত সেনা ম্যানেজমেন্টে স্নাতক সদস্যপদ এবং অন্তিম সোপান আর্মির সাবমেজর পদ। কর্মজীবনে নানা বর্ণনা অভিজ্ঞতা বিকেন্দ্রীভূত করার আন্তরিক তাগিদ অনুভবে লেখনিকে অবলম্বন করে গ্রন্থ নির্মানে ব্রতী হয়েছেন। একাধিক পদ এবং কঠিন থেকে কঠিনতম নানাবিধ আর্মি ট্রেনিং এর মধ্য দিয়ে আজও তিনি সারল্যময়, প্রাণবন্ত এবং কর্ম ও কর্তব্য হিমালয়ের মত স্থির, দৃঢ় এবং মৌনমুখর।
মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র (দুইশত টাকা মাত্র)